বিজ্ঞাপন

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনে শ্রেণি বিভাজন করে পরিপত্র জারি

September 28, 2020 | 5:01 pm

ঢাকা: জাতীয় ও আন্তজার্তিক দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে শ্রেণি বিভাজন করে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। সেখানে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত ১৮টি দিবস, ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত ৩৩টি দিবস এবং ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত ৩৩টি দিবস উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ওই পরিপত্র জারি করা হয়। উপসচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান স্বাক্ষরিত পরিপত্রে ক, খ এবং গ শ্রেণিভুক্ত দিবস মিলিয়ে ৮৪ দিন জাতীয় ও আন্তজার্তিক দিবস উদযাপনের কথা বলা হয়েছে।

দিবসগুলোর মধ্যে ‘ক’ শ্রেণিতে বলা হয়েছে জাতীয় পর্যায়ে দিবস-উৎসব পালনে যেসব তারিখ আলাদা করা হয়েছে তা হলো, ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস-আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্ম দিবস ও শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, এ মাসেই বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হয়, ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামলের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন, ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষ, ২৫ বৈশাখ রবীন্দ্র জয়ন্তী, ১১ জৈষ্ঠ নজরুল জয়ন্তী, ১ শাওয়াল ঈদুল ফিতর, ১০ জিলহজ ঈদুল আজহা, ১২ রবিউল আউয়াল ঈদ ই মিলাদুন্নবী (সা.) এছাড়া দুর্গাপূজা।

আর যেসব দিন ঐতিহ্যগতভাবে পালন করা হয়ে থাকে অথবা বর্তমান সময়ে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সামাজিক উদ্বুদ্ধ করনের জন্য বিশেষ সহায়ক যেসব দিবস পালন করা যেতে পারে এবং এসব অনুষ্ঠানে মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। এসব দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে। এ দিবস পালনে সরকারি কোষাগার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা খরচ করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

এই ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে ২ জানুয়ারি জাতীয় সমাজসেবা দিবস, বছরের শুরুতে নির্ধারন করা হবে জাতীয় টিকা দিবস, ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস, ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস, ১ মার্চ জাতীয় বিমা দিবস, ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস, ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস, ১৫ মার্চ জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস, ২৩ মার্চ জাতীয় আবহাওয়া দিবস, ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস, ৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ও জাতীয় ক্রীড়া দিবস, ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস, ২৮ মে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ৪ জুন জাতীয় চা দিবস, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচার বিরোধী আন্তজার্তিক দিবস, ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস, ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস, ৯ আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস, ৮ সেপ্টেম্বর আন্তজার্তিক স্বাক্ষরতা দিবস, সেপ্টম্বরের শেষ সপ্তাহ নৌ দিবস, ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস, অক্টোবরের প্রথম সোমবার শিশু অধিকার দিবস, ১৩ অক্টোবর আন্তজার্তিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস, ১৬ অক্টোবর খাদ্য দিবস, ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস, ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস, নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার জাতীয় সমবায় দিবস, ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস, ৪ ডিসেম্বর জাতীয় বস্ত্র দিবস, ৯ ডিসেম্বর আন্তজার্তিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস, ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া দিবস এবং ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।

আর ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত বিশেষ বিশেষ খাতের দিবসগুলো প্রতীকীভাবে পালন করা হবে। সংশ্লিষ্টরা মন্ত্রীরা এতে উপস্থিত থাকবেন কিন্তু এর জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।

‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলো হলো, ২৩ জানুয়ারি বার্ষিক প্রশিক্ষন দিবস, ২ ফেব্রুয়ারি নিরাপদ খাদ্য দিবস, ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ক্যানসার দিবস, ৮ মার্চ আন্তজার্তিক নারী অধিকার ও নারী দিবস, ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস, ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধা সম্পন্ন দিবস, ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস, ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস, ৩ মে বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম দিবস, ৮ মে আন্তজার্তিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস, ১৫ মে টেলিযোগাযোগ দিবস, ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস, ৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস, ১৭ জুন বিশ্ব খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধ দিবস, জুলাই মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক সমবায় দিবস, ১৬ সেপ্টেম্বর আন্তজার্তিক ওজন সংরক্ষণ দিবস, ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস, সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ রোববার বিশ্ব হার্ট দিবস, ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস, অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস, ৬ অক্টোবর জন্মনিবন্ধন দিবস, ৯ অক্টোবর ডাক দিবস, ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস, অক্টোবর মাসে বিশ্ব সাদাছড়ি দিবস, ২০ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস, ২ নভেম্বর সেচ্ছায় রক্তদান ও মরনোত্তর চক্ষুদান দিবস, ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস, ২৯ নভেম্বর প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের প্রতি আন্তজার্তিক সহমর্মিতা দিবস, ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস ও ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় জীব বৈচিত্র দিবস এবং জাতীয় শিক্ষক দিবস।

বিজ্ঞাপন

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে এই তিন শ্রেণি ছাড়া আরও দিবস পালন করা হয়ে থাকে তবে তা জাতীয়ভাবে গুরুত্ব বহন করে না। তবে শিক্ষা সপ্তাহ, প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ, বিজ্ঞান সপ্তাহ, জাতীয় মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ (১-৭ আগস্ট), শিশু সপ্তাহ ( ২৯ সেপ্টেম্বর-৫ অক্টোবর), সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর), পুলিশ সপ্তাহ, বিজিবি সপ্তাহ, আনসার সপ্তাহ, মৎস্য পক্ষ, বৃক্ষরোপণ অভিযান এবং জাতীয় ক্রীড়া সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে আয়োজন করবে। সে অনুযায়ী উদ্যোগ নেবে। কোনো সপ্তাহ দিবস পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান তিন দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে পরিপত্রে।

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন