বিজ্ঞাপন

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা

October 31, 2020 | 6:28 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজকে এই একটা ঘর দেওয়ার পর দুঃখী মানুষের মুখে যখন হাসি ফোটে, তখন তার যে আনন্দ আসে, আমার মনে হয় এটাই সব থেকে বড় পাওয়া।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ‘মুজিববর্ষে গৃহহীন মানুষকে সরকারের সচিবগণের গৃহ উপহার’ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রসঙ্গত, সরকারের ৮০ জন সিনিয়র সচিব ও সচিব নিজ নিজ এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন। আজ ১৬০টি পরিবারের গৃহের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সাল আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। মুজিববর্ষে আমাদের ঘোষণা যে বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। আর সেই ঘোষণায় যদিও আমরা সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়েছি, কাজ করে যাচ্ছি। এর সাথে সাথে আমাদের সরকারি সচিবরা যে নবতর উদ্যোগ নিয়েছেন, যারা এদেশের নিজ নিজ এলাকার গৃহহীন মানুষদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া, যাতে একটি পরিবারকে একটা ঠিকানা দিয়ে দেওয়া, এটা মহৎ উদ্যোগ বলে মনে করি।’

বিজ্ঞাপন

‘জাতির পিতার সারা জীবনের যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল, তিনি সবসময় এটাই বলতেন, তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান। আজকে এই একটা ঘর দেয়ার পর সেই দুঃখী মানুষের মুখে যখন হাসি ফোটে, তখন তার যে আনন্দ আসে, আমার মনে হয় এটাই সবথেকে বড় পাওয়া’, বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুঃখী মানুষের জন্য কাঁদতেন। আজ তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা এই দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন এবং আমাদের আত্মপরিচয়ের সুযোগ দিয়ে গেছেন।’

জাতির পিতাকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে বাংলাদেশের হাঁটার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে মানুষের কল্যাণে কাজ শুরু করলে বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে শুরু করে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর দেশে ফিরে আসতে পারিনি। কারণ জাতির পিতাকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে তখন এই খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল। আর যারা যুদ্ধাপরাধী, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছে, মা-বোনদের তুলে দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে, লুটপাট করেছে, তাদের মন্ত্রী বানিয়েছে, ক্ষমতায় বসিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

বিত্তশালীদের নিজ এলাকার দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান

এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ঘর নাই এমন ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি পরিবার এবং জমি আছে ঘর নাই এমন ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবারসহ সর্বমোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করেছে সরকার। যাদের ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১ হাজার কোটি টাকায় প্রায় ৬০ হাজার পরিবারকে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দফতর, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে সর্বমোট ৬ হাজার ২২২টি গৃহ নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুত হয়েছেন।

এর মধ্যে জনপ্রতিনিধি ২ হাজার ৮৩২ জন, মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৫৬২টি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে ৮২৮টি।

গণভবন প্রান্তে অন্ষ্ঠুানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া গৃহ পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক খান, হাকিম মোল্লা এবং নিগুম চাকমা উপকারভোগী হিসাবে মতবিনিময় করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন