বিজ্ঞাপন

ইএফডি ইনভয়েসে লটারি, এনবিআরের পুরস্কার পাবে ভ্যাটদাতা ক্রেতা

November 26, 2020 | 1:37 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মাধ্যমে যারা ভ্যাট দেবেন, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের ইনভয়েস লটারি করা হবে। আর সেই লটারির মাধ্যমে কয়েকজনকে পুরস্কৃত করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম নিজেই এ ঘোষণা দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্স হোটেলে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আয়োজিত ইএফডি ও এসডিজি ব্যবহার এবং উপকারিতা সম্পর্কে অবহিতকরণ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহনে এক সেমিনার ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ুন কবীর।

আলোচনায় আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে ইএফডির মাধ্যমে জনগণের ভ্যাট দেওয়ার অনীহা দূর হবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের আরও বেশি বেশি উন্নয়ন হবে। ফলে দেশের ছেলেমেয়েরা আর বিদেশে যাবে না। আর ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর হচ্ছে যারা ভাবছেন এখন ইএফডি নেওয়ায় বিক্রি কম হচ্ছে, এটা ভুল। আগামী জানুয়ারি থেকে ইএফডির ইনভয়েস লটারি হবে। এর মাধ্যমে ভোক্তা ভ্যাট দেবে এবং প্রতি মাসে মাসে পুরস্কার পাবে। আর যারা পুরস্কার পাবে, তাদের লটারি নাম্বার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। ফলে নিকটস্থ ভ্যাট অফিস থেকে পুরস্কারের টাকা নিতে পারবে ভোক্তারা। তাই যাদের দোকানে ইএফডি আছে, ভোক্তারা কিন্তু সেই সব দোকান খুঁজে পণ্য কিনতে শুরু করবে।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট আদায় নিয়ে অনেকের মধ্যে বিরূপ প্রভাব রয়েছে। যারা দোকান মালিক, তাদের পক্ষ থেকে এক ধরনের কথা আছে। আবার ভোক্তারা বলে, ভ্যাট দেই কিন্তু দোকান মালিক সেটা সরকারের কোষাগারে জমা দেয় না। ভ্যাট তো দোকান মালিক দেবে না, ভ্যাট দেবে ভোক্তা। সেই ভ্যাট সরকারের আমানত, দোকান মালিক শুধু সেটা সরকারকে বুঝিয়ে দেবে। এখানে দোকান মালিক তো তার লাভের অংশ সরকারকে দেবে না। তাহলে দোকান মালিকদের সমস্যা কোথায়? সমস্যা হতে পারে ভ্যাট আদায়ের ফলে ক্রেতা কম হওয়া। কিন্তু সেটাও সামনে হবে না।

দেশের উন্নতিতে ভ্যাটের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে সবকিছুর উন্নয়ন হয়েছে। ভ্যাট দেবেন না, ট্যাক্স দেবেন না— দেশের উন্নয়ন সরকার করবে কিভাবে? বিদেশিদের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করে দেশের উন্নয়নের সেই জায়গাতে আর নেই বাংলাদেশ। আমরা নিজস্ব টাকায় পদ্মাসেতু করছি। ঢাকার শহরে মাটির নিচ দিয়ে গাড়ি চলবে। ফ্লাইওভার হয়েছে, সেটা দেখে কি আমাদের ভালো লাগে না? মহাশূন্যে আমরা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছি। আমাদের স্বপ্ন থাকতে হবে। স্বপ্ন না থাকলে জাতি বড় হতে পারে না। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে উন্নয়ন করতে হবে। আর এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের তো অর্থ লাগবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি সদস্য মান্নান শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের থেকে মোবাইল ব্যবহারে বাংলাদেশ এগিয়ে। আমরা ডিজিটালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ১৯৯১ সালে শুনেছি, ভ্যাট দিলে ব্যবসা টিকবে না। ভ্যাট জনগণ দেয়, ব্যবসায়ীরা সেটা সরকারকে জমা দেয়। ভ্যাট ব্যবসায়ীদের দিতে হয় না। সরকারকে এগিয়ে নিতে হলে ভ্যাট আদায় করতে হবে। আমরা আর পেছনে থাকতে চাই না আমরা, এগিয়ে যেতে চাই।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর সদস্য জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা আগস্ট থেকে ১ হাজার প্রতিষ্ঠানে ইএফডি দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয়, আমরা সেটার দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ২০টি সেক্টরে ইএফডি মেশিন বসছে। সরকারের পলিসি হলো সম্ভাব্য সবগুলো খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা। তাই সরকারকে রাজস্ব প্রদানে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন