বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশি প্রতিবন্ধী শিশুর গল্প— ‘মাই নেম ইজ রুনা’

December 3, 2020 | 4:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি সমাজকে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতে এবং অবহেলিত এই শিশুদের প্রতি মানুষকে সচেতন করতে প্রকাশিত হয়েছে বই ‘মাই নেম ইজ রুনা’। বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান নিকেতন ফাউন্ডেশন এবং নেদারল্যান্ডসের প্রতিষ্ঠান বিবলিওনেফ যৌথভাবে বইটি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ডাচ নাগরিক এন্টিনিও টারমোসাইজে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে গত ২০ বছর ধরে কাজ করছেন। মূলত বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সেরিব্রাল পালসি বা জন্মলগ্ন থেকে মস্তিষ্কে ক্ষতজনিত কারণে প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে ডাচ নাগরিক এন্টিনিও টারমোসাইজে কাজ করছেন। তার অভিজ্ঞতায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশে গ্রামাঞ্চলে এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের অনেকেই ‘পাগল’ বলে থাকেন। এসব শিশুকে অনেক সামাজিক নির্যাতন, নেতিবাচক মন্তব্যসহ ব্যাপক অত্যাচার সহ্য করতে হয়। অথচ সঠিকভাবে যত্ন নিলে এই শিশুদের ভবিষ্যতও উজ্জ্বল হতে পারে। মূলত এই শিশুদের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতেই ডাচ নাগরিক এন্টিনিও টারমোসাইজে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

ডাচ নাগরিক এন্টিনিও টারমোসাইজে সারাবাংলাকে বলেন, শুধু বাংলাদেশই নয়, নেদারল্যান্ডসসহ সারাবিশ্বেই এই ধরনের শিশুদেরকে বিরূপ পরিবেশের মুখোমুখি হতে হয়। তাই এই শিশুদের প্রতি মানুষকে সচেতন করা এবং এই শিশুদের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।

বিজ্ঞাপন

‘মাই নেম ইজ রুনা’ বাইটিতে মূলত রুনা নামে বাংলাদেশি এক প্রতিবন্ধী শিশুর চরিত্র বাস্তব জীবনের চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বইতে রুনা বলছে, ‘হ্যালো, আমি রুনা। আমি সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত এবং বাংলাদেশে বাস করি। আমি স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারি না এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। তাই লোকে আমাকে ইডিয়ট বলে গালি দেয়। আমার মা-বাবাও আমাকে গালি দেয়। এখন আমি একটি বইয়ের মূল চরিত্রে কথা বলছি, যেখানে আমার সাথে এই সমাজ যেসব অনাচার করছে তা বলার চেষ্টা করেছি। আশা করব, আমার এই বইটি এই সমাজে প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি বৈষম্য প্রতিরোধে সাহায্য করবে এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে।’

নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, প্রতিবন্ধী শিশু, বিশেষ করে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত শিশুদের প্রতি বৈষম্য প্রতিরোধে ‘মাই নেম ইজ রুনা’ নামের বইটি প্রভাব ফেলবে বলে আশা করি। রুনা নামে বাংলাদেশি এক শিশুর গল্প নিয়ে বইটি, যেখানে ২৪ বছর বয়সী একজন ডাচ তরুণী বইটির অ্যামিনেশনের কাজ করেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বইটি ইংরেজি ভাষায় লেখা। শিগগিরই আমরা বাংলায় অনুবাদ করে বইটি প্রকাশ করব। বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে এই বইটি পৌঁছে দেওয়ার পরকিল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন