‘কর ও ভ্যাট প্রদান সহজ করতে কাজ করছে এনবিআর’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কর ও ভ্যাট প্রদানের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেন, সক্ষম সবাইকে কর দিতে হবে, ভ্যাট দিতে হবে। এটি নাগরিক দায়িত্ব। তবে অনেকের কাছেই কর ও ভ্যাট দেওয়ার প্রক্রিয়াকে জটিল মনে হয়। এই প্রক্রিয়াকে সহজ করার জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা চাই, সবাই যেন সহজেই কর ও ভ্যাট দিতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলেন কক্ষে জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে ওয়েবিনার ও সেরা ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের মধ্যেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ঈর্ষণীয়। ট্যুরিজম, পরিবহন খাতসহ অনেক খাতে স্থবিরতা সত্ত্বেও আমরা ভালো করছি। ভ্যাটের ক্ষেত্র বাড়াতে দরকার অটোমেশন। এনবিআরে অটোমেশনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। অটোমেশন হয়ে গেলে সবাই সহজে কর ও ভ্যাট দিতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) আবদুল মান্নান শিকদার। তিনি বলেন, যেসব করদাতা অনলাইনে রির্টান দাখিল করতে সক্ষম হচ্ছে না, তাদের জন্য সনাতনি কাগজে রির্টান দাখিলের ব্যবস্থাও থাকছে। পরবর্তী সময়ে ভ্যাট কর্মকর্তারা স্ক্যান করে সেগুলোকে ডিজিটাল ডেটায় পরিণত করছেন।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ঘরে বসে অনলাইনে মাসিক রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের  অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রায় ৬৭ শতাংশ রিটার্ন দাখিল অলনাইনে হয়েছে। প্রায় ৭৪ হাজার রিটার্ন এসময় অনলাইনে জমা হয়েছে। আগামী ৮-১০ মাসের মধ্যে শতভাগ রিটার্ন অললাইনে দাখিল করা যাবে বলে আশাবাদ জানান তিনি।

বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ভ্যাটের আওতা বাড়াতে আমরা কাজ করছি। তবে ভ্যাটেরর আওতা বাড়ালে ট্যারিফ কমিয়ে আনতে হবে। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, করোনার মধ্যেও আমাদের রেমিট্যান্স প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নেক্সট নরমালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, প্রবৃদ্ধির সাফল্য ধরে রাখতে হলে এনবিআরকে আরও বেশি ডিজিটাইজেশন করতে হবে। ইএফডি এনবিআররের একটি মাইলফলক। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা সব পক্ষের মাঝেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। উৎপাদন খাতে এই সম্মাননা পেয়েছে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লি. ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লি.। ব্যবসায় খাতে সম্মাননা পেয়েছে হ্যামকো করপোরেশন লি., সিমেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড ও ইউনিমার্ট লিমিটেড। এছাড়া সেবা খাতে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড, কাতার এয়ারওয়েজ গ্রুপ (কিউসিএসসি) ও চিটাগাং ওয়্যারহাউজেস লিমিটেডকে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতার সম্মাননা দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর