বিজ্ঞাপন

হাছিনা গাজীর জাদুর কাঠিতে উন্নয়নের শীর্ষে তারাবো পৌরসভা

December 12, 2020 | 7:53 pm

আশিকুর রহমান হান্নান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নারায়ণগঞ্জ: উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার চিত্র। সেইসঙ্গে বদলে গেছে পৌরবাসীর জীবনমান। রাস্তাঘাট পাকাকরণ-ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়াও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এ পৌরসভায়। উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে পৌরবাসী। সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি মেয়র হাছিনা গাজীর আন্তরিকতা ও কর্মদক্ষতার কারণে এমন উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করছেন পৌরবাসী।

বিজ্ঞাপন

২০০২ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারাবো পৌরবাসী নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত ছিল। এখন বদলে গেছে তারাবো পৌরসভার চিত্র। তারাবো পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়নের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এখানকার নাগরিকরা এখন পাচ্ছেন নাগরিক সুবিধা। পাঁচ বছরে পৌরসভা বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার কাজ। সামনে প্রায় ২০০ কোটি টাকার চলমান কাজ রয়েছে। গত ৫ বছরে এ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, অতীতে কোনো মেয়রের আমলে এত উন্নয়ন হয়নি। তাই খুশি পৌরবাসী। নাগরিকরা বলছেন, বর্তমান মেয়র হাছিনা গাজীর প্রয়াসে বিরাট এ পরিবর্তন এসেছে তারাবো পৌরসভায়।

সরেজমিনে জানা যায়, তারাবো পৌরসভাকে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সংবলিত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিকল্পিত নগর অবকাঠামো, আর্থ-সামাজিক ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশসহ ডিজিটাল পৌরসভা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জে একমাত্র নারী পৌর মেয়র নির্বাচিত হন রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলালীগের সভাপতি হাছিনা গাজী। নির্বাচনের পরই পৌরসভার উন্নয়নে কাজে হাত দেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দাতা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তারাবো পৌরসভায় পাঁচ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, যা জেলার অন্যান্য পৌরসভায় করা সম্ভব হয়নি। নগদ অর্থ, গৃহ নির্মাণের ঢেউটিন, শীতবস্ত্র, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার তহবিলের মাধ্যমে নারীদের আর্থিক সহায়তা, পুষ্টিকর খাবারসহ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। পৌর এলাকার শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিতে স্যানিটারি ল্যাট্রিন বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি বাজেটের আগেই পৌর এলাকার জনগণের চাহিদা ও মতামত গ্রহণসহ উন্মুক্ত বাজেট গ্রহণ করা হচ্ছে। উন্নয়নের ছোঁয়ায় অবহেলিত তারাবো পৌরসভার চিত্র পাল্টে গেছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, তারাবো পৌরসভার প্রথম নারী মেয়র রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি হাছিনা গাজী। তিনি সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিলেন। তার সেই জনপ্রিয়তা এখনো রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঋণগ্রস্ত তারাবো পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি তারাবো পৌরসভাকে ঋণমুক্ত করেন। এটি তার নেতৃত্বের বড় সফলতা। এরপর তিনি মাদক, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিময় পৌরসভা গড়তে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ছুটে বেড়ান। নিয়ে আসেন একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প। তিনি পৌরবাসীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরবান হাসপাতাল উদ্বোধন করেছেন। সেখান থেকে বহু মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। পৌরবাসীর বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছেন। গন্ধর্বপুরে বাস্তবায়ন হচ্ছে পানি শোধনাগার। সেখান থেকে পৌরসভার প্রত্যেক ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি পৌছে যাবে।

হাছিনা গাজীর পূর্ববর্তী মেয়ররা যে উন্নয়ন কাজ করতে পারেননি, তা তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করেছেন। পৌরসভায় কোনো তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র ছিলো না, বর্তমানে তথ্য ও অনুসন্ধান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নতুন দ্বিতীয় তলা পৌর ভবন নির্মাণসহ পুরাতন ভবনকে সম্প্রসারণ করে চার তলা করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের ফলে ঢাকার চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে তারাবো। একটি গার্বেজ ট্রাকের পরিবর্তে ছয়টির বেশি ট্রাক ও শতাধিক পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য তিনি নিজস্ব অর্থে পানির পাম্প স্থাপন করে দিয়েছেন। নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্করণ হচ্ছে। খাল খনন, ড্রেন নির্মাণ, সড়কে বাতি স্থাপন করেছেন। পানি সরবরাহ প্রকল্পের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় এক একর জমি ক্রয় করা হয়েছে। পৌরসভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। পৌরসভা আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মহিলাদের সেলাই মেশিন প্রদান এবং প্রশিক্ষণ ও মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সব ধরনের ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ, শিশু ও নারী নির্যাতন হ্রাস পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয়তা। মশক নিধন অব্যাহত রয়েছে। তারাবো পৌরসভাকে ই-সেবার আওতায় নিয়ে এসেছেন হাছিনা গাজী। তারাবো পৌরসভার ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিস সিস্টেম-এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এই ডিজিটাল মিউনিসিপালিটি সার্ভিস সিস্টেমের মাধ্যমে এখন থেকে তারাবো পৌরবাসী ঘরে বসে পাঁচটি নাগরিক সেবা সম্পাদন করতে পারছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার আওতায় এসেছে পৌরসভা। নগরবাসী পেয়েছে স্মার্টকার্ড। নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ পৌরসভায় ডে-কেয়ার সেন্টার চালু করা হয়েছে। ৫০০ আসন বিশিষ্ট হাছিনা গাজী পৌর অডিটোরিয়াম নির্মান হচ্ছে। যা নারায়ণগঞ্জের অন্য কোথাও নেই।

বাজেট বাস্তবায়নে হাছিনা গাজী স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জনগণের মুখোমুখি হয়েছেন নিয়মিত। পাঁচ বছরে তিনি জনকল্যাণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর প্রশংসা পেয়েছেন। শিল্পমালিকদের সঙ্গে তার সু সম্পর্ক রয়েছে। হাছিনা গাজী নির্বাচনের আগে জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার দ্বিগুণেরও বেশি কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। নাগরিকদের ওপর তিনি করের বোঝা আরোপ করেননি। পৌরসভা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর মেয়র হাছিনা গাজী নিয়মিত কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি কার্যক্রম চালিয়ে যান। পৌরবাসী নিজেদের অসুবিধা- সুবিধা নিয়ে মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। পৌরসভার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা ও সমাধানের পথ দেখিয়ে দেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ পাওয়া মাত্র অংশ নেন। তাছাড়া কাজের জন্য তিনি বঙ্গমাতাসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুঁইয়া, তারাবো পৌরসভার বাসিন্দা লায়ন মো. মোজাম্মেল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘শিল্প অঞ্চল নিয়ে তারাবো পৌরসভা গঠিত হলেও এর ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন এসেছে ২০১৬ সাল থেকে। তারাবো পৌরসভার সফল মেয়র হাছিনা গাজী ২০১৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী পৌর মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণের পর উন্নয়নের মহাবিপ্লব ঘটে। একজন সফল নারী মেয়র পানি সরবরাহ প্রকল্প, পৌর অডিটরিয়াম, আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার নির্মানের জন্য পৌরসভাকে জায়গা দান করেছেন, শুধু জায়গা নয় তারাবো পৌরসভার সকল উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। পৌরসভার উন্নয়নের জন্য তিনি মন্ত্রণালয়সহ বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউনিসেফ, এলজিইডিসহ বিভিন্ন সরকারী ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার দ্বারে ঘুরে তারাবো পৌরসভাকে বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। তার ফলস্বরূপ আজকের নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্প, স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন। তারাবো পৌরসভায় হাছিনা গাজীর কার্যকালে যে, উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা সারা বাংলাদেশে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

বরপা এলাকার বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা বলেন, ‘তারাবো পৌরসভায় বাস্তবমুখী উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছে গেছে সবখানে। পৌরসভার প্রতিটা মহল্লায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পিছিয়ে থাকা জনগোষ্টি আজ চারদিকে দেখছে ব্যাপক উন্নয়ন। পাশাপাশি উন্নয়নের সুফলও ভোগ করছেন পৌর এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী।’


পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোসেন আহমেদ রাজিব বলেন, ‘তারাবো পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চিত্র এখন বদলে গেছে। এক সময় ছিল ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকায় কাদা মাটির রাস্তা। পাকা রাস্তা আর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় বাসিন্দারা এখন শহুরে সুবিধার আওতায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি আর অলিতে গলিতে সড়ক বাতি রাতের অন্ধকারে জাগিয়ে রাখে বাসিন্দাদের। এ ওয়ার্ডে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অলিতে-গলিতে সড়ক বাতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উন্নয়ন করা হয়েছে। বর্তমান মেয়র হাছিনা গাজীর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বিরাট এ পরিবর্তন এসেছে তারাবো পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে।’

তারাবো পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ভুঁইয়া জানান, বিগত সময়ের মেয়রের চেয়ে বর্তমান মেয়রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চোখের পড়ার মতো। একজন নারী হিসেবে তিনি যে সফলতা দেখিয়েছেন, তা অতুলনীয়। শুধু পৌরসভার উন্নয়ন কাজের মধ্যেই নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেননি। তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে দলীয় সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছেন।

বরাবো এলাকার বাসিন্দা শিল্পপতি রফিকুল ইসলাম জানান, শিল্প সমৃদ্ধ তারাবো পৌরসভায় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়তে একজন সফল নারী মেয়র হিসেবে হাছিনা গাজী ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করেছেন। জনসম্পৃক্ততা ও জনবান্ধব হওয়ায় হাছিনা গাজী পৌরসভার দরিদ্র-অসহায়দের আস্থা অর্জন করেছেন।

তারাবো পৌরসভার সচিব তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। ওয়ার্ডগুলোতে বইছে দিন বদলের হাওয়া। উন্নয়নের কারণে ওয়ার্ড গুলো যেন এক একটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ঐ সব এলাকার রাস্তাঘাট পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে গেছে সবকিছুই। পালাবদল ঘটেছে শহুরে অবকাঠামোতে, খাদ্যের প্রাপ্যতায়, জীবনযাত্রার মানে, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, যোগাযোগ ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ও স্বাস্থ্যে। বিভিন্ন স্থানেই চোখে পড়ে দৃশ্যমান এবং বাস্তবমুখী সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। তারাবো পৌরসভার বাস্তবমুখী উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে গেছে সবখানে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটা মহল্লায় কোটি কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী আজ চারদিকে দেখছে ব্যাপক উন্নয়ন।’

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী বলেন, ‘আগে শুধু হাহাকার, অর্থ নাই, প্রকল্প নাই, রাস্তা ও ড্রেনের সমস্যা, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ দূষণ, ব্রিজ, কালভার্ট সহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজের চাহিদা ছিল পৌরসভার। আমি সুষ্ঠু ও সুন্দর একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রথমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করি; এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তির কাজে হাত দেই। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউনিসেফ, জেলা পরিষদ সহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করি। রূপগঞ্জের মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা আধুনিক রূপগঞ্জের রূপকার জননেতা গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) এমপির সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাই এবং মহান আল্লাহর রহমতে সফলও হই।’

হাছিনা গাজী আরও বলেন, ‘বিগত ৫ বছর পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তারাবো পৌরসভাকে উন্নত করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আমি নির্বাচিত হওয়ার আগে তারাবো পৌরসভাবাসীকে যেই কথা দিয়েছিলাম, তারাবো পৌরসভাকে উন্নত ও আধুনিক পৌরসভাতে রূপান্তরিত করব; আমি সেই লক্ষ্যে কাজ করেছি। এখন তারাবো পৌরসভা উন্নত ও আধুনিক পৌরসভা হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। তারাবো পৌরসভা এখন সারা দেশের পৌরসভা গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ট পৌরসভা। তারাবো পৌরসভাকে উন্নত ও সমৃদ্ধ পৌরসভা গড়তে পৌরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। আমি পৌরবাসীর মূল্যবান ভোটে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে তারাবো পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরিত করতে চেষ্টা চালাবো।’

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন