বিজ্ঞাপন

জি-টু-জি বিষয় নয়, ভ্যাকসিন পেতে দেরি হবে না: স্বাস্থ্য সচিব

January 5, 2021 | 4:47 pm

স্টাফ করেসপপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, জি-টু-জি কোনো বিষয় নয়। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায় অবগত রয়েছেন। কাজেই করোনার ভ্যাকসিন পেতে দেরি হবে না।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘জি-টু-জি কী জি-টু-জি না, সেটা কোনো বিষয় নয়। করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের শীর্ষ পর্যায় অবগত আছেন। কাজেই এটা পেতে কোনো অসুবিধা হবে না।’

উল্লেখ্য, এদিন একনেকে করোনা ভ্যাকসিন কেনা, সংরক্ষণ ও সরবরাহের একটি চলমান প্রকল্পে আওতায় চার হাজার ৩১৪ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ভ্যাকসিন নিয়ে সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিনব্যাপী বিভ্রান্তির পর মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) এক টুইটার পোস্টে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা লেখেন, জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়ায় আমি দুটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। সব দেশেই ভ্যাকসিন রফতানির অনুমতি রয়েছে এবং ভারত বায়োটেক নিয়ে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি অ্যস্ট্রেজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। দেশের ওষুধ খাতের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসউটিক্যালসের মাধ্যমে সেই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আনতে এরই মধ্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করেছে সরকার। তবে ভারত সরকার এই ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে— আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরে গতকাল দিনভর বিষয়টি ছিল আলোচনায়।

রোববার (৩ জানুয়ারি) ভারত সরকার সিরাম উৎপাদিত ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগে জরুরি অনুমোদন দেয়। পরদিন সোমবার (৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা জানান, অনুমোদনের সঙ্গে ভারত সরকার সিরামকে শর্তও দিয়েছে। ওই শর্ত অনুযায়ী, ভারতের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভ্যাকসিন রফতানি করা যাবে না। কেবল রফতানি নয়, ভারতের বাজারে বেসরকারিভাবে এই ভ্যাকসিন বিপণনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ভারত থেকে ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে কিভাবে পাবে— এমন প্রশ্ন থেকে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশ্বস্ত করেন, এই নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে না। অন্যদিকে, বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষও জানায়, ভ্যাকসিন রফতানি নিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না।

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন