প্লট জালিয়াতি: ব্যবসায়ী হাসেমের ২ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা চলবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত এম এ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ (রাসেল) ও আশফাক আজিজ এবং রাজধানী উন্নয় কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সদস্য এস ডি ফয়েজ ও এ কে এম ওয়াহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— রাজউকের অবসরপ্রাপ্ত আরও তিন সদস্য এস এম জাফর উল্লাহ, এইচ এম জহুরুল হক ও রেজাউল করিম তরফদার।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক খান ও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সাইফুদ্দিন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের ১৪ নভেম্বর দুদকের এ মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর রুল ও স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ এম এ হাসেমের দুই ছেলে ও রাজউকের দুই সাবেক সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলতে আর কোনো বাধা রইল না।’

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রভাব খাটিয়ে’ অবৈধভাবে পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এম এ হাসেমের দুই ছেলে শওকত আজিজ ও আশফাক আজিজকে পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমির দু’টি প্লট বরাদ্দ দেন। অথচ তারা ওই প্রকল্পে শিল্পপতি কোটায় প্লট বরাদ্দের আবেদন করে প্লট পাননি। সে কারণে ওই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়ে জামানতের টাকা তুলে নেন। আবেদন প্রত্যাহারকারীরা বিবেচনাযোগ্য না হলেও তা রাজউকের বিশেষ বোর্ড সভায় এই বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয় বলে এজাহারে বলা হয়। সে কারণে বোর্ডের সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর