বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে

May 23, 2021 | 12:58 am

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। উল্লেখ্য, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’।

বিজ্ঞাপন

ভারতের একাধিক আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, জন্মের পর এটি দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে অতি প্রবল রূপ ধারণ করে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আর স্থলে আঘাত হানবে বুধবার (২৬ মে)। তবে সোমবার থেকেই উপকূলবর্তী এলাকায় এর তাণ্ডব শুরু হয়ে যাবে।  ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও স্পষ্ট করে বলেনি কোনো আবহাওয়া অধিদফতর। ধারণা করা হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের খুলনা জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে এ ঘূর্ণিঝড়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছাতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান দেশের সকল উপকূলে সর্তকাবস্থা জারি করার কথা জানিয়েছেন। শনিবার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে রোববার ( ২৩ মে) সকালের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সমুদ্রে মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকার জন্য একই সতর্কতা জারি করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে শনিবার চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রক্ষ্মপুত্র,গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বার্তাসংস্থা বাসসের খবর।

আরও পড়ুন
‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ৩ গুণ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: এনামুর
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর গতি হতে পারে ১৯০ কিলোমিটার!

যমুনা ও পদ্মা নদীর পানি সমতল এবং আপার মেঘনা অববাহিকার সুরমা ছাড়া অন্যান্য প্রধান নদ ও নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া প্রধান সব নদ-নদীর পানি সমতল বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে,পর্যবেক্ষণাধীন ১০১টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৩টির, হ্রাস পেয়েছে ৩২টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির, গেজ পাঠ পাওয়া যায়নি ২২ টির এবং তথ্য পাওয়া যায়নি ২২ টির।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তার সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক পূর্বপ্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেছেন।

এ পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কয়েকটি দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেন বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। স্থানীয় পত্রিকার খবরে জানা গেছে, ৯টি দূরপাল্লার ট্রেনকে আগামী ২৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন