শেষ হলো পদ্মাসেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মুন্সিগঞ্জ: নানা প্রতিকূলতার পরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। কর্মযজ্ঞের ধারবাহিকতায় সেতুতে সবগুলো স্প্যান বসানোর ৬ মাসের মাথায় এবার শেষ হলো রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ। ৬.১৫ কিলোমিটারের মূল সেতুতে বসানো হয়েছে ২ হাজার ৯৫৯টি স্ল্যাব।

রোববার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১২ও ১৩নং পিয়ারের স্প্যানে শেষ রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ সমাপ্ত হয়। সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সেতুর মোট ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে শনিবার (১৯ জুন) পর্যন্ত বসানো হয় ২ হাজার ৯৫৮টি। রোববার (২০জুন) সকাল ৮টার দিকে সর্বশেষ ১টি স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। বেলা ১০টার দিকে সে কাজ শেষ হয়। এর মধ্য দিয়ে রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ শেষ হলো।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮সালে সেতু রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়। অর্থ্যাৎ ২ বছর ৮ মাস ২৬দিনের মাথায় বসানো হলো সবগুলো রেলওয়ে স্ল্যাব। এরপর সেতুর নিচ তলায় গ্যাসপাইপ লাইন স্থাপনের পর রেললাইন বসানোর জন্য রেল লিঙ্ক প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সূত্রে আরও জানা যায়, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো পাশাপাশি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে। সেতুর মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ২ হাজার ৬৮৯টি। আর বাকি আছে ২২৮টি। বাকি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজও এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু। এরপর পর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দু’টি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হয়েছে এ সেতুর কাঠামো।

সারাবাংলা/এমও