বিজ্ঞাপন

দেশে অনুমোদন পেল মডার্নার ভ্যাকসিন

June 29, 2021 | 10:06 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ফার্মাসিউটিক্যালস উদ্ভাবিত নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন দেশে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া এটি সপ্তম ভ্যাকসিন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ জুন) রাতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োগের জন্য ‘ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশনে’র আবেদন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট ও রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করেছে। এরপর সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এটি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- মডার্নার ২৫ লাখ ভ্যাকসিন আসছে শুক্র-শনিবার

বিজ্ঞাপন

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর আরও জানায়, বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভ্যাকসিনটি গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ ও ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশনও পেয়েছে এই ভ্যাকসিন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মডার্নার ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য। ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ডোজ প্রয়োগের চার সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে ঋণাত্মক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শূন্যের নিচে ঋণাত্মক ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে এটি ব্যবহারের আগে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিন ও ৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানির কোনো ভ্যাকসিন নেই। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী ২ বা ৩ জুলাই এই কোম্পানির ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দেশে আসতে পারে। বৈশ্বিক ভ্যাকসিন জোটের উদ্যোগে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশ পাচ্ছে এই ভ্যাকসিন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, এটি দেশে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া সপ্তম ভ্যাকসিন। এর আগে ৭ জানুয়ারি সবার আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এরপর গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার জেনেরিয়াম জয়েন্ট স্টক কোম্পানি উদ্ভাবিত স্পুটনিক-ভি, ২৯ এপ্রিল বেইজিং ইনস্টিটিউব অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস উদ্ভাবিত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন, ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ও ৬ ‍জুন চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক দেশে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।

সবশেষ গত ১৫ জুন বেলজিয়ামের জনসন অ্যান্ড জনসন (জ্যানসেন ক্লেগ ইন্টারন্যাশনাল) উৎপাদিত ভ্যাকসিন ‘জ্যানসেন’ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এর আগে অনুমতি দেওয়া পাঁচটি ভ্যাকসিনের প্রতিটিরই দু’টি ডোজ করে প্রয়োগ করতে হয়। জ্যানসেন-ই প্রথম একডোজের ভ্যাকসিন হিসেবে দেশে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। এবারে মডার্নাসহ দেশে অনুমোদিত ভ্যাকসিনের সংখ্যা হলো সাত।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন