বিজ্ঞাপন

দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ালেই বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে: কাদের

August 1, 2021 | 2:26 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ আগস্ট) সকালে ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান করোনা সংকটে অসহায়, দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ালেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন হবে এবং তার আত্মা শান্তি পাবে।

তিনি বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল ১৫ আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীতে আর নেই। জগতে অন্যান্য হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। টার্গেট করা হয়নি অবলা নারীকে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।

তিনি আরও বলেন, সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন, তার সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ।

বিজ্ঞাপন

১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি, তারা পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়, তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না।

আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধু কন্যার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বীগ্ন হওয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসার পর তাকে প্রায় ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৩ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।

ব্যবসায়ীদের অনুরোধে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা বিধি নিষেধের আওতামুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ছিলেন কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন, এমনটা স্মরণ করে দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাস্তবে দেখা গেল অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দেয়। এতে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মানুষেরা রাজধানীমুখী হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সারাবাংলা/এনআর/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন