২৪ ঘণ্টায় ২৩৭ মৃত্যু, শনাক্ত ১০৪২০

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে (কোভিড-১৯) ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২৬৪। যা করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪২০ জনের শরীরে। আগের দিন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ১১ হাজার ১৬৪ জনের শরীরে।

বুধবার (১১ আগস্ট) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আগের দিনের মতোই ৭০৮টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৪৪ হাজার ৮টি। আগের দিনেরসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৪৪ হাজার ৪৩০টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭১টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ১০ হাজার ৪২০টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে যে ২৩৭ জন মারা গেছেন, তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ২৩ হাজার ৩৯৮ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন, নারী ১০৩ জন। তাদের মধ্যে বাসায় তিন জন ও বাকি ২৩৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ২৩৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৪ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। এছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১৪ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চার জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী দুই জন, এই সময়ে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী দুজন ও ১০ বছরের নিচে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ১০০ বছরের বেশি বয়সী কারও মৃত্যু হয়নি।

মৃত এই ২৩৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৫ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩ জন সিলেট বিভাগের। এ ছাড়া খুলনা বিভাগের ২০ জন, রাজশাহী বিভাগের ১০ জন, ময়মনসিংহের ১১ জন, রংপুর বিভাগের ছয় জন ও বরিশাল বিভাগের আট জনের মৃত্যু হয়েছে।

সারাবাংলা/পিটিএম