বিজ্ঞাপন

কৃষি বীজের উন্নয়ন শিখতে বিদেশ যাবেন ৯ কর্মকর্তা

August 16, 2021 | 8:45 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কৃষি বীজের উন্নয়ন শিখতে বিদেশ যাবেন ৯ কর্মকর্তা। এ জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। প্রতিজনের পেছনে ব্যয় হবে ৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এছাড়াও দেশে প্রশিক্ষণ নেবেন ৩০০ জন কর্মকর্তা। তাতে ব্যয় হবে ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সেইসঙ্গে স্টাফ, চুক্তিবদ্ধ কৃষক, ডিলার এবং এনজিওর ৫ হাজার ৩১০ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

‘জীবপ্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি বীজ উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পে রাখা হয়েছে এসব বরাদ্দ।

উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশ সফরের ব্যবস্থা রাখা প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেছিলেন, করোনা মহামারির কারণে সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ অবস্থায় অর্থের অপচয় যতটা সম্ভব কম করা উচিত। একান্ত প্রয়োজন না হলে উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশ সফরের আয়োজন বাদ দেওয়া উচিত।

সূত্র জানায়, গত ৮ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ১ আগস্ট দেওয়া হয় প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। চলতি বছর থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিদ্যমান তিনটি টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরিতে ২০২৫ সালের মধ্যে আলুর ২০ লাখ অনুচারা উৎপাদন করে আলুবীজ বিভাগে সরবরাহ করা এবং এ প্রক্রিয়ায় দেশের বীজ আলুর চাহিদা মিটিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা হবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বিএডিসিতে একটি জীবপ্রযুক্তি বিভাগ স্থাপিত হবে। জীব প্রযুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে মানসম্পন্ন প্লান্টিং মেটেরিয়াল বীজ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরোক্ষভাবে ফলন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে দেশের বীজআলুর চাহিদা মিটিয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা হবে।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, প্রকল্পটি সৃষ্টি ধর্মী। তাই এই প্রকল্প দেশের জন্য নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে। এ প্রকল্পটি বিএডিসির গবেষণা সেল, আলুবীজ বিভাগ, উদ্যান উন্নয়ন ও এগ্রোসার্ভিস সেন্টারের সহায়ক প্রকল্প হিসাবে কাজ করবে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে জীব প্রযুক্তি ব্যবহার অতি জরুরি। প্লান্টিং মেটিরিয়ালস বীজ উৎপাদন করতে পারলে সংশ্লিষ্ট ফসলের একর প্রতি ফলন বাড়বে ও জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তাই জীব প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে ও স্বল্প পরিসরে অধিক সংখ্যক প্লান্টিং মেটেরিয়ালস বীজ উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন