বিজ্ঞাপন

আফগানিস্তানে উভয় সংকটে উইঘুর জনগোষ্ঠী

August 27, 2021 | 1:39 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

তালেবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পর দেশটিতে বসবাসরত উইঘুর মুসলিমরা উভয় সংকটের মধ্যে পড়ে গেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বিজ্ঞাপন

আতঙ্কিত উইঘুর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা মনে করছেন, তাদেরকে হয় চীনে ফেরত পাঠানো হবে অথবা আফগানিস্তানেই ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর শঙ্কা, আফগানিস্তানে থাকা দুই হাজার উইঘুরের ভাগ্যে খুব খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে।

২০১৭ সাল থেকে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াংয়ে ১২ মিলিয়ন উইঘুর মুসলিম সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। তাদেরকে সেখানে জন্ম নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আটককেন্দ্রে রাখা, শ্রম দিতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, শিনজিয়াংয়ের ক্যাম্পগুলোয় ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিম বন্দি রয়েছে। তাদেরকে জোরপূর্বক কমিউনিজমের দীক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বাধ্যতামূলক শ্রমের পাশাপাশি ধর্ষণ-হত্যা-ধর্মীয়-বাক স্বাধীনতা হরণের মতো অভিযোগও রয়েছে।

সম্প্রতি কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তালেবান। এ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে হাজার হাজার আফগান দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষমান রয়েছে। তার মধ্যেই সেখানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

১০ বছরের বেশি সময় ধরে আফগান স্বামীর সঙ্গে কাবুলে বসবাস করা এক উইঘুর নারী বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘চীনা মাইগ্রেন্ট’ হওয়ার কারণে তালেবান তাকে ফেরত পাঠাতে কিংবা মেরে ফেলতে পারে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তালেবান। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হস্তক্ষেপে তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়। ওই সময় শরিয়াহ আইন অনুসারে দেশ পরিচালনা করেছিল তারা। সে সময় নারীশিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এ ছাড়া নারীর একা বাইরে যাওয়া ও ঘরের বাইরে নারীর কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। সে সময় চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অঙ্গচ্ছেদের বিধানও ছিল আফগানিস্তানে। তবে এবার ঠিক কেমন সরকার হবে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন উইঘুর মুসলিমরা।

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন