বিজ্ঞাপন

ধোঁয়ায় কারুকাজে ই-সিগারেটের প্রবণতা বাড়ছে

October 4, 2021 | 5:14 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ধোঁয়া নিয়ে বেশি কারুকাজ করার সুযোগ থাকায় তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ই-সিগারেট বিষয়ক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রতিবেদনের এই ফল তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর ঢাকা আহছানিয়া মিশন এই গবেষণা পরিচালনা করে।

গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ই-লিক্যুইড ফ্লেভারের ভিন্নতা এবং ধোঁয়া নিয়ে বেশি কাঁরুকাজ করার সুযোগ থাকায় বেশিরভাগ ব্যবহারকারী শিক্ষার্থী ওপেন সিস্টেম (রিফিল ট্যাংকযুক্ত) বা ই সিগারেট পছন্দ করেন। জরিপে দেখা যায়, প্রথমে ই-সিগারেট সেবনের সময়, বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীরা নিশ্চিত ছিলেন না যে এতে নিকোটিন আছে কি না। অংশগ্রহণকারীরা ই-সিগারেটের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করতেন যে, ই-সিগারেট সম্পর্কে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছিল না যে এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। অংশগ্রহণকারীদের নিকোটিন সম্পর্কে মিশ্র জ্ঞান ছিল। তারা ই-সিগারেট এবং প্রচলিত সিগারেটের মধ্যে নিকোটিনের পার্থক্য সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল না। আবার তাদের কেউ কেউ মনে করতেন যে ই-সিগারেটে প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় নিকোটিন কম থাকে।

জরিপে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা প্রথমে সামাজিক মিডিয়া, বড় ভাইবোন, বন্ধু, পরিবারের অন্যান্য সদস্য, সিনেমা, শপিং মল বা উপহারের দোকান থেকে ই-সিগারেট সম্পর্কে শুনেছে। বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীরা ই সিগারেটের বিজ্ঞাপনগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে দেখেছেন। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বন্ধুদের সঙ্গে তাদের প্রথম ই-সিগারেট চেষ্টা (সেবন) করেছিল।

বিজ্ঞাপন

জরিপে বলা হয়, বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীরা (৬৫ শতাংশ) স্বাদের কারণে ই-সিগারেট ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। স্টাইলের কারণে অনেকে ই-সিগারেট ব্যবহার করছেন বলেও জানান। আবার অনেক অংশগ্রহণকারীই জানান যে, ই-সিগারেট তাদের প্রচলিত সিগারেট ছাড়তে সাহায্য করতে পারে ভেবে তারা এটি নিচ্ছেন।

অংশগ্রহণকারীরা ই-সিগারেটকে প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর বলে মনে করেন। ই-সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়ার মাধ্যমে রিং তৈরি করার কৌশল করার ও তা প্রদর্শন করা পুরুষ উত্তরদাতাদের মধ্যে একটি সাধারণ কারণ ছিল।

গবেষণার ফলাফল ঘোষণা করেন নর সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিভাগের সিনিয়র লেকচারার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হায়াতুন নবী। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি এডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ৷ ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোখলেছুর রহমান৷

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে এই গবেষণা জরিপের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ২৩ ছাত্রদের মধ্যে তিনটি ফোকাসড গ্রুপ ডিসকাশন পরিচালিত হয়। এতে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শেষ ৩০ দিনে নিয়মিত ই-সিগারেট ব্যবহার করত তারা অংশ নেয়।

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন