বিজ্ঞাপন

বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

October 12, 2021 | 6:13 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বেসরকারি খাত এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এই খাতের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারও প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) ‘টেকসই ডিজিটাল গভর্নমেন্ট সিস্টেম বাস্তবায়নে স্থানীয় সফটওয়্যার খাতের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশ নেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনা বিভাগের আয়োজনে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জয়নুল বারীর উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশ নেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ, শরিফা বেগম, মোসাম্মত নাসিমা বেগম, রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসসহ অন্যরা।

সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের সরকার ডিজিটাল সরকার। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছি। আমাদের সঙ্গে বেসরকারি খাতও অনেক দূর এগিয়ে গেছে। সরকার বেসরকারি খাতকে লাগসই ও যুৎসই করতে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সেমিনারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। তবে এই খাতের কিছু সমস্যাও আছে। যেমন— ই-কমার্সে বিভিন্ন প্রতারণা ধরা পড়ছে। এসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

সচিব জয়নুল বারী বলেন, আইসিটি খাতের বড় ক্রেতা সরকার। এই খাত উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের বড় একটি অংশই এই খাতে যুক্ত। সুতরাং খাত সংশ্লিষ্টরা কোনো ক্ষেত্রে সহায়তা চাইলে সরকার সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর।

সেমিনারে জানানো হয়, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগযাত্রায় টেকসই ডিজিটাল গভর্নমেন্ট সিস্টেম অপরিহার্য। বর্তমানে সরাসরি নিয়োজিত কনসালট্যান্টসহ নিজস্ব জনবল, বিদেশি ও দেশি আইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিজিটাল গভর্নমেন্ট সিস্টেমগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, টেকসই ডিজিটাল গভর্নমেন্ট সিস্টেমে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে— পরিকল্পনা পর্যায়ে সফটওয়্যারের সঙ্গে ডাটাবেজ লাইসেন্স বা ইনফ্রাস্ট্রাকচার সংযোগ করে অন্তর্ভুক্তি করার কারণে প্রকল্পটি টার্ন-কি আকারে প্রণীত হয়। ফলে বাংলাদেশি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের জন্য অংশগ্রহণ সহজ হয় না। প্রকল্প পরামর্শকদের বাংলাদেশে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এছাড়া টেন্ডার ডকুমেন্টগুলো দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠান ও দেশি তথ্য প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় স্থানীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যোগ্যতা থাকলেও কঠোর শর্ত বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন