বিজ্ঞাপন

‘ওমিক্রন নিয়ে এখনই আতঙ্কের কোনো কারণ নেই’

December 12, 2021 | 5:52 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে দু’জন কোভিড আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যদিও তা নিয়ে এখনই আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। তবে সবার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকার কতৃক উপহার দেওয়া গ্যাস প্ল্যান্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ চিকিৎসক ও নার্সরা।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে গতকাল দু’জনের শরীরে কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারা ভালো আছে। এতে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, এই ডিসেম্বরে বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান করার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি। সেইসঙ্গে মুজিববর্ষও পালন করছি। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন বাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া ভারত স্বাধীনতার সময়ও সবধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে।’

কোভিডের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিয়ত কোভিডের বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট আসছে। তবে আমরা আর তৃতীয় ওয়েব চাচ্ছি না। দ্বিতীয় ওয়েবেই সমাপ্ত করতে চাচ্ছি।’

এ তিনি সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশে স্থাপন করা ভারতের উপহার দেওয়া অক্সিজেন প্ল্যান্ট, বহির্বিভাগের শিশু কর্নার উদ্বোধন করেন ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন।

বিজ্ঞাপন

শিশু কর্নার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, “ঢাকায় একটি বড় ‘মা ও শিশু হাসপাতাল’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সাড়াদেশেও মা ও শিশু হাসপাতাল করা হবে। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। আজকের শিশুরাই আগামীর দেশ গড়বে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিজয়ের মাসে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘মৈত্রী দেশ হিসেবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে। ভারত ও বাংলাদেশ পরিবারের মতো।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে জেলা হাসপাতালগুলোতেও এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হবে। ইতোমধ্যে ৩০টি এসেছে। আরও ৪০টি আসবে। এর ফলে আমরা লিকুইড অক্সিজেনের উপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি পাব।’

অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সব ক্রান্তিকালে ভারত পাশে এসে দাঁড়ায়। এর ধারাবাহিকতায় তারা আমাদের দেশকে দুটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট উপহার দেয়। এর একটি ঢাকা মেডিকেলে স্থাপন কর হয়েছে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে অক্সিজেন সাপ্লাইও দিচ্ছে। মিনিটে ৯৬০ লিটার অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে সক্ষম এই প্ল্যান্ট। এটি আমাদের কোভিড চিকিৎসায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন