বিজ্ঞাপন

‘সংলাপ ব্যর্থ না সফল— রাষ্ট্রপতির পদক্ষেপের পর বোঝা যাবে’

January 2, 2022 | 6:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপের ফল দেখতে সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি আপনাদের বলব— এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে নাকি সফল হচ্ছে, তা সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সে পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।

রোববার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন দফতর/সংস্থার কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হতে যাচ্ছে। সংবিধানে ইসি গঠন নিয়ে আইন প্রণয়নের কথা থাকলেও এখনো সে আইন হয়নি। এ প্রেক্ষাপটেই গত কয়েক মেয়াদের ধারাবাহিকতায় ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তবে এর মধ্যে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল সংলাপ বর্জন করেছে। এই সাংলাপে কোনো লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে, তা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়েই নির্ধারিত হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সার্চ কমিটি করে কোনো লাভ হবে না।

সাবেক এই উপদেষ্টার এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে দু’টি কথা বলব— বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা আছে। বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। আমরা মনে হয় তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটা করতেই পারেন। দ্বিতীয়ত, সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেবেন, সেটি দেখার পর আপনারা বুঝবেন সংলাপ সফল হয়েছে নাকি ব্যর্থ হয়েছে।

বিএনপি সংলাপে যাচ্ছে না— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি বিএনপির উদ্দেশে এ কথাই বলতে চাই— দেশ সবার ঊর্ধ্বে। দেশের স্বার্থে আপনারা যদি এই সংলাপে আসেন, সেটি আপনাদের জন্য ভালো হবে, সবার জন্য ভালো হবে। বিএনপি যদি সেটি না করেন, সেটি তাদের সিদ্ধান্ত।

বিজ্ঞাপন

“অনেকে বলেন ‘টক্সিক সিচুয়েশন’। ওনারা (বিএনপি) যদি মনে করেন, এটি ‘টক্সিক সিচুয়েশন’, তাহলে আমার মনে হয় ‘টক্সিক সিচুয়েশন’ থেকে বেরোনোর জন্য তাদের কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সংলাপে গেলে আমরা মনে হয় সেটি পজিটিভ হবে,”— বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আইন হলে এই প্রশ্নগুলো উঠত না— এমন মন্তব্য অনেকের। এর পরিপ্রেক্ষিতে এখনো আইন করার সুযোগ আছে কি না—  জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে আইন করার সুযোগ নেই। আইন হবে না— এ কথা তো আমি বলিনি। আমি বলেছি, আইনটি হবে। তবে এমন একটি হওয়া উচিত যেটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। শুধু এক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে তো এটি সার্বজনীন আইন হলো না। সেক্ষেত্রে আমি মনে করি, আইনটি হবে। কিন্তু এবারের এই যে কমিশন, সেটি সংলাপের ওপর নির্ভর করবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাছে  চ্যালেঞ্জ হলো জনগণের সেবা করা। এটাই এত বছর ধরে করে আসছে সরকার। এই সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলে জনগণ মূল্যায়ন করবে কারা তাদের সেবা করেছে আর কারা নিজেদের সেবা করার জন্য বক্তব্য দিয়েছে। জনগণ সেখানে ভুল করবে না বলেই মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার জনগণের প্রাপ্য সেবা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কাকে বিদেশে পাঠানো হবে আর কাকে বিদেশে পাঠানো হবে না, সেটি অগ্রাধিকার নয়। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন