বিজ্ঞাপন

৬ষ্ঠ দিনে অনশন— সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেই শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের

January 24, 2022 | 6:14 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিলেট: উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরদের আমরণ অনশন ৬ দিনে গড়িয়েছে। এই অবস্থায় সংকট নিরসনে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান হচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সার্বিক বিষয় নিয়ে দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

অনশনস্থলে বসা একজন শিক্ষার্থী জানান, ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার থেকে অনশন শুরু করেছিলো শিক্ষার্থীরা। এখন অনশনস্থলে ১২ জন এবং অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙ্গবেন না বলে জানিয়েছেন।

‘উপাচার্য পদের মূল্য বেশি নাকি শিক্ষার্থীর প্রাণ’

 

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া কোনো সহিংস ঘটনা নয়।’ গত ১২ দিন ধরে চলমান আন্দোলনে কোনো সহিংসতা ঘটনা হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান আন্দোলন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ঘটনার শুরু থেকেই নানা ভাবে শিক্ষার্থীদের উপর দোষারোপ করা হচ্ছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করতে প্রধান ফটকে চেকপোস্ট বসিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, আন্দোলনে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ মুক্ত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, অসদাচরণের অভিযোগ এনে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানায় গত রোববার নিজের বাসভবনে যাওয়ার সময় উপাচার্যকে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং উপাচার্যকে মুক্ত করে তার বাসভবনে নিয়ে যায়। এতে অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

এদিকে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি করা হয়। এর মধ্যেই গতকাল সোমবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবি ভিসির কার্যালয়, একাডেমিক ভবন, কন্ট্রোলার অফিসসহ বিভিন্ন আবাসিক হলে তালা দেন।

এরপর গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের অনশনে ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গণঅনশনে যোগ দিয়েছেন আরও ৫ জন শিক্ষার্থী। এতে তিনজন ছেলে এবং ২ জন মেয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন