বরগুনার খাকদোন নদী দখল বন্ধে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বরগুনা জেলা শহরের কাঠপট্টি এলাকায় খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নদী দখল করে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া এলাকায় খাকদোন নদীর সিএস/আরএস অনুসারে সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সনজয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত রুল জারির পাশাপাশি অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এইচআরপিবির দাখিল করা আবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, তাহলে দুই সপ্তাহের মধ্যে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ছয় সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ইউএনও ও এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে খাকদোন নদীর সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ নিয়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং রিপন বাড়ৈ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), বরগুনার জেলা প্রশাসক (ভিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), বরগুনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ ১২ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম