বিজ্ঞাপন

শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে জবি শিক্ষার্থী

February 24, 2022 | 9:23 pm

জবি করেসপন্ডেন্ট

নিজ বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী। তিনি জানিয়েছেন, এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর গত ২৬ ডিসেম্বর অভিযোগ করেন তিনি। প্রতিকার না পেয়ে নিজেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে বিচারের দাবি জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞাপন

বিচার চেয়ে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে যান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের স্বীকার হয়েছেন অভিযোগ করে ভুক্তেভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ঘটনাটি ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বরের। শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে নিকেতনের ব্লক-এ ২ নম্বর রোডের ৮২ নম্বর বাসায় অবস্থিত ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নেন। এপর ফ্রেন্ডশিপের প্রস্তাব দিয়ে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেন।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমি পরদিনই এক সহপাঠীকে নিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তাকে এ ঘটনা জানালে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া বিচার করা সম্ভব না বলে জানান। উপাচার্য বরাবর অভিযোগের পর সেটি প্রমাণ করতে না পারলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে ছাত্রত্ব বাতিল হতে পারে বলেও আমাকে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমার কোর্সের কোনো ক্লাসে অংশ নেয়নি। পরে শেষ ক্লাসে এসে পুরো কোর্স সম্পর্কে জানতে চায়। এতে তাকে আমি তিরষ্কার করি। সাধারণভাবে যেকোনো শিক্ষকই এটি করে থাকেন। এ বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। এই অভিযোগ কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রসূত। জবি প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা তুলে আনবে বলে আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমে বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছিল ছয় মাস পর। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেটি সে করেনি। সে অসহযোগিতা করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি তদন্তের জন্য যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিটি অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে। কমিটির তদন্তে যেটি উঠে আসবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বার বার অভিযোগের পরও কেন বিষয়টির কোনো সমাধান হয়নি— এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লাইসা আহমেদ লিসা বলেন, আমরা অভিযোগটি জেনেছি। বিষয়টি গোপনীয়। তদন্তের স্বার্থেই কারও নাম বলা যাচ্ছে না। আমরা অভিযোগ নিয়ে বৈঠক করব, তদন্ত করব। তদন্তে কী উঠে আসবে, সেটি সবাইকে জানানো হবে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন