বিজ্ঞাপন

পহেলা বৈশাখ— বাঙালির আত্মপরিচয়ের উৎস

April 13, 2022 | 11:40 pm

রাজনীন ফারজানা, স্টাফ করেসপন্ডেট

ঢাকা: একটা সময় পালন হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। সেই বাংলা নববর্ষ এখন বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম অংশ। বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি জাতিভিত্তিক রাষ্ট্রের একটি বাংলাদেশ, যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি আছে। এ দেশের পাহাড় ও সমতলে বাস করা কয়েকটি জাতিগোষ্ঠী বাদ দিলে পুরো ব-দ্বীপজুড়েই বাংলা ভাষাভাষী মানুষের বাস। নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি সংস্কৃতি আর জীবনাচরণ মিলে পহেলা বৈশাখ তাই ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। এই দিনেই মানুষ সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে মেতে ওঠে নতুন বছরকে বরণের উৎসবে। নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে সামনে রেখে পাহাড়ে বা সমতলে নানা আয়োজনে পালন হয় বাংলার নতুন বর্ষ।

বিজ্ঞাপন

ইতিহাস বলছে, বাংলা নববর্ষের সূচনা সম্রাট আকবরের হাত ধরে। ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবর চালু করেন এই বর্ষপঞ্জি। শুরুর দিকে এর পরিচিতি ছিল ফসলি সন নামে। তবে কালক্রমে এটি পরিচয় পায় বঙ্গাব্দ হিসেবে। বাংলার ঋতুনির্ভর কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন।

বঙ্গাব্দের ইতিহাস কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও কালে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশের যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন, সেটিও অনেকটাই আবর্তিত হয় এই বাংলা বর্ষবরণের উৎসবকে কেন্দ্র করে। ওই সময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।

আরও পড়ুন- ‘সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা মানে স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা’

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আর কেবল আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। আশির দশকের মাঝামাঝিতে যশোরের চারুপীঠ থেকে শুরু হয়েছিল বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৮৯ সালে সেই আয়োজন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটেও (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ)। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদও উঠে আসে সেই শোভাযাত্রায়, যা পরবর্তী সময়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে পরিচিতি পায়। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

পাকিস্তান আমলে যখন ভাষা-সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা ছিল শাসকগোষ্ঠীর, সেই সময় বাংলা নববর্ষ বরণের আয়োজনকে প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছে ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে। তার বিপরীতে দাঁড়িয়েই বাঙালি সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ফের বাঙালি সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে একে সরিয়ে ভিন্ন সংস্কৃতিকে চাপিয়ে দেওয়ার এক ধরনের প্রবণতা লক্ষণীয় বলে মনে করছেন সমাজ বিশেষজ্ঞরা। ধর্ম ও সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টাও দেখছেন তারা। পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বা বাঙালি সংস্কৃতির এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবশ্য সরব সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিরা, সমাজ বিশ্লেষকরা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- বর্ষবরণের মাধ্যমে বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়: প্রধানমন্ত্রী

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেন, আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা মানে স্বাধীনতাকেই অস্বীকার করা। বাঙালির মুখের ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে উপজীব্য করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একদিন এ দেশে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল। তার ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

কূপমণ্ডুকদের প্রয়াস সত্ত্বেও বঙ্গাব্দ বরণের উৎসব দীর্ঘ চর্চায় সর্বজনীন হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন ছায়ানটের সহসভাপতি ও বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, একটি ভূমির বাসিন্দাদের বছরের পর বছর ধরে পালন করা আচার, বৈশিষ্ট আর জীবনধারাই মূলত সংস্কৃতি। বাংলাদেশের বাঙালিদেরও তেমনি রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির ওপর বারবার আঘাত হানার চেষ্টা চালিয়েছে কিছু সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ও গোষ্ঠী। কিন্তু আমরা তাকে প্রতিহত করে এসেছি। আমি তো বলব আমরা অনেকাংশেই সফল হয়েছি। পহেলা বৈশাখের উদযাপনে উৎসবমুখর মানুষের হাসিখুশি চেহারা তো সে কথাই বলে। পহেলা বৈশাখ প্রতিবছরই বাঙালির সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ঘটা করে তুলে ধরে। এদিন সব ভেদাভেদ ভুলে বাঙালি এক হয়ে উদযাপনে মেতে ওঠে, যা বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতির পরিচয় ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।

তবে ভারত ভাগের পর থেকেই গেঁড়ে বসা সাম্প্রদায়িকতা চট করে চলে যাবে, এমন আশাও করেন না শাকিল। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ফের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের শঙ্কা দেখছেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, তারাই মূলত সাম্প্রদায়িকতা লালন করে। সেই শক্তির ধারক-বাহক এখনো বর্তমান। আর তারাই সাম্প্রদায়িক আচরণ করে মানুষের স্বাভাবিক সাজ-পোশাক ও চলাচলের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চায়। কিন্তু ধর্ম যার যার উৎসব সবার— এটিই বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূলে। যুগে যুগে বাংলা ভাষাভাষী জনগণের ধর্মচর্চার পথে সংস্কৃতি কখনো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি, এখনো হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। যারা সংস্কৃতি আর ধর্মকে মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছেন, তারা আসলে নিজেরাও জানেন না সংস্কৃতি কী, নিজের আত্মপরিচয় কী। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সেই আত্মপরিচয় খুঁজে নেওয়ারই উৎসব।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ‘ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির সংঘাত সৃষ্টি সঠিক নয়, উৎসব সবার’

পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিচর্চায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধের চেষ্ট করলে তার বিরুদ্ধে যে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার কেন্দ্রে ছিল পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণের উদযাপন। তাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয় ছায়ানট। সেই থেকেই পহেলা বৈশাখ পুরোপুরিই বাঙালির সংস্কৃতির ধারক-বাহক এবং পরিচায়ক। কিন্তু সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেখছেন অনেকেই। শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে টিপ নিয়ে কটূ কথা বলা কিংবা মুন্সীগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কারাগারে পাঠানোর মতো ঘটনাগুলোকে সে ধরনের ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করেন তারা।

এ ধরনের ঘটনার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতা’র দায় দেখছেন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ক্ষমতার মোহে রাজনৈতিক শক্তি মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মাধ্যমে নিজেদের জায়গা সংকুচিত করে ফেলছে, নিজেদের ধার্মিক প্রমাণের চেষ্টা করছে। মানুষ কী চায়, তা না ভেবে দাঙ্গাবাজ ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঔদার্য দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বিশ্বের যেসব দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রাধান্য পেয়েছে তারা কেউই সফল হতে পারেনি। কারণ মৌলবাদী শক্তি ক্ষমতা পেলে কোনো ঔদার্য দেখায় না। তারা বেছে বেছে সুস্থ রাজনীতি ও সংস্কৃতির ধারক-বাহকদেরই শেষ করে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করে।

তিনি বলেন, দেশ এখন সংকটের মুখে। আমাদের জাতীয় পরিচয় সংকটের মুখে। কোনো উন্নয়নই সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে হয় না, বিজ্ঞানমনস্কতাকে বন্ধ করে হয় না। মৌলবাদীদের উত্থানে নারী প্রগতি থেমে যাবে। নারী শক্তিকে থামিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না।

আরও পড়ুন- পহেলা বৈশাখ; বাঙালির প্রাণের উৎসব

এ পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য এখনই রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পরামর্শ দেন ইশতিয়াক রেজা। বলেন, মৌলবাদীদেরকে কৈফিয়ত দেওয়া যাবে না। তাদের এজেন্ডার সামনে নতজানু হওয়া চলবে না। দেশ কীভাবে চলবে— সেই এজেন্ডা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিকেই ঠিক করতে হবে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের মোহে সংস্কৃতিক উন্নয়নের গুরুত্ব ভুলে গেলে চলবে না।

রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯। নতুন দিনের বিদায়ী সূর্যের কাছে জীর্ণ আর পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে গ্লানি মুছে নতুন দিনের নতুন সম্ভাবনার আহ্বান জানিয়ে শুরু হবে বাঙালির নতুন বছর। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরপর দুই বছর বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আশায় অপেক্ষায় জাতি।

সর্বজনীন এই উৎসবে সুখি-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধর্ম-বর্ণ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দের শুভ মুহূর্তে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্নাত হয়ে আসুন বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলি; যেখানে বৈষম্য থাকবে না, মানুষে মানুষে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ, থাকবে না ধর্মে-ধর্মে কোনো বিভেদ।

আরও পড়ুন- বাঙালির জাতীয় উৎসব বাংলা নববর্ষ

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই থাকবে নানা আয়োজন। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৯’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনে জাতীয় পর্যায়ে নানা ধরনের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। বরাবরের মতোই ছায়ানটের আয়োজনে রমনার বটমূলে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে থাকছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বৈশাখী র‌্যালি আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন তাদের ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে নববর্ষ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি টিভি, বাংলাদেশ বেতার, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। থাকবে বাংলা নববর্ষের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি চ্যানেলগুলো রমনা বটমূলে ছায়ানট আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন