বিজ্ঞাপন

রেদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সেলিমের

April 27, 2022 | 6:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলডিপির আরেক অংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। বুধবার (২৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন রেদোয়ান আহমেদ। ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপির কিছু নেতা একদিকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ ঐক্য বিনষ্টের জন্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আপত্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা ঐক্য বিনষ্টের প্রয়াস।’

রেদোয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই কেউ চায় নির্দলীয় সরকার, কেউ চায় নির্বাচনকালীন সরকার, কেউ চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এলডিপি চায় জাতীয় সরকার। একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে এলিডিপির নিজস্ব মতামত আছে। একটি দল তাদের নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশ করলে তারা সরকারের দোসর হয়ে যাবে- জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে মন্ত্রীসহ বিভিন্ন প্রস্তাব থাকলেও এলডিপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। এলডিপি সেদিন জোট ত্যাগ করলে ২০ দলীয় জোট ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকারের তরফ থেকে অনেক লোভনীয় প্রস্তাব থাকলেও আমরা তা গ্রহণ করিনি। দুঃসময়ে আমরা বিএনপির পাশে থেকেছি। ভবিষ্যতেও থাকব।’

বিজ্ঞাপন

রেদোয়ান আহমেদের এই বিবৃতির পাল্টা বিবৃতিতে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে ধৃষ্ঠতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন রেদোয়ান আহমেদ। এতে করে দলটির দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যে আঁতাতের চেষ্টা ছিল, তা রেদোয়ান আহামদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে। দেনা-পাওনা না মিলার কারণে এবং অলি আহমদের অতি চাহিদার কারণে এলডিপি তখন আওয়ামী সরকারে যেতে পারেনি বলে বাজারে গুজব আছে। বিএনপির উচিত হবে অনতিবিলম্বে অলি আহমদের এলডিপির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।’

‘বিএনপির কিছু নেতা একদিকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ ঐক্য বিনষ্টের জন্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আপত্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। এটা ঐক্য বিনষ্টের প্রয়াস’- রেদোয়ানের এমন বক্তব্যের জবাবে শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘জনগণ যখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ, তখন নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা মাত্র।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবের পরও যারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত রেখে নির্বাচনের আগে জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে কথা বলছে, নিঃসন্দেহে তারা জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দেশি-বিদেশি কুচক্রিমহলের ইন্ধনে এই প্রস্তাবকে তারা মুখে তুলে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বকেই প্রকাশ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

শাহাদাত হোসেন সেলিম আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে রেদোয়ান আহমেদ বিএনপিকে যোগদানের জন্য দ্বারে-দ্বারে ধর্ণা দিয়েছেন। আজ তাদের মুখেই শেখ হাসিনার অধীনে জাতীয় সরকার গঠনের কথা শোনা যায়। এটা কোনও ‘নিজস্ব মত’ হতে পারে না। এটা দেশের মানুষের সঙ্গে পরিহাস, প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। যার অধীনে ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন ও ২০১৮ সালে আগে রাতে নির্বাচন হয়ে যায়, তাকে সামনে রেখে তার অধীনে বা তার দলকে রেখে জাতীয় সরকার গঠনের কথা যারা বলে, তারা নিঃসন্দেহে জাতীয়তাবাদী শক্তির ভেতরে চক্রান্তকারী। এই চক্রান্তকারীদের জোটে রেখে আগামী দিনে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থই হাসিল করা সহজ হবে না।’

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন