বিজ্ঞাপন

‘মারধরে আহত নারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ’

May 20, 2022 | 7:51 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নড়াইল: পুরুলিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের গৃহবধূ নারগিস বেগমসহ ২ নারীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের পর নড়াইল সদর হাসপাতালে আহতরা চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২০ মে) নারগিস বেগমের স্বামী নড়াইলের চাঁদপুর গ্রামের সবুজ মৃধাসহ ভুক্তভোগীরা জানান, গ্রাম্য কোন্দলের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের রসুল শেখের ছেলে সোহেল শেখের (২৬) পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষরা। তখন সোহেলের স্ত্রী মীম ও ২ শিশু সন্তানকে মারধরও করে তারা।

এসময় প্রতিপক্ষের হাত থেকে সোহেলের স্ত্রী মীম ও ২ শিশু সন্তানকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশি হামলার শিকার হন সবুজ মৃধার স্ত্রী নারগিস বেগম (৪৫) এবং সবুজের বোন রেশমা বেগম (৫০)। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্বজনদের অভিযোগ, ঘটনার পর ওইদিন রাত ১২টার দিকে গুরুতর অসুস্থ নারগিসকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশ তাকে স্থানীয় চাঁচুড়ি বাজারে নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তারের চিকিৎসা দেয়। যথাযথ চিকিৎসা না পেয়ে নারগিস এখন ঘরের মধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। পুলিশি বাধায় হাসপাতালে যেতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সবুজ মৃধার বাড়ির চেয়ারসহ আসবাবপত্র ও রান্নাঘরের চুলাও ভাঙচুর করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ শিপান শেখের মদদে পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

তবে গ্রামপুলিশ শিপান শেখ জানান, তিনি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করেন না। শান্তি রক্ষায় সবসময় নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, ‘চাঁদপুর গ্রামে এক নারী মারপিটের শিকার হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। পুলিশের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন