বিজ্ঞাপন

মহাদেও নদী রক্ষায় রুল জারি

June 14, 2022 | 11:18 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নেত্রকোনা: জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মহাদেও নদী রক্ষায় রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। নতুন এ রুল জারির ঘটনা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সোমবার (১৩ জুন) এ রুল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে, মহাদেও নদীর বর্তমান কী অবস্থা তা জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রুলে নদীর পাশের ফসলি জমি, স্থানীয় বাজার, বসতবাড়ি, বাগান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গাছপালা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মহাদেও নদী, নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসীর সম্পদের যে ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, ময়মনসিংহ জেলার বিভাগীয় কমিশনার, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদফতরের নেত্রকোনার সহকারী পরিচালক ও কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা আবেদনে এ রুল জারি করা হয়। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী রফিকুল ইসলামের দাবি, মহাদেও নদী ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই মহাদেও নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন করছেন ইজারাদাররা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মহাদেও নদী ও এর প্রতিবেশ ব্যবস্থা। ক্রমেই বিলীন হচ্ছে নদীর পাড়।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জেলা কমিটির উপদেষ্টা নেত্রকোনার আইনজীবী জহিরুল ইসলাম রানা বলেছেন, এজন্য সরকারের কর্তৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নেত্রকোনা সীমান্তবর্তী কলমাকান্দায় দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত মহাদেও নদী এবার রক্ষা পাবে পশুদের হাত থেকে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, নদীটি রক্ষায় এ এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে রুলের জবাব দেয়া হবে। এটি এক সময় উপযোগী পদক্ষেপ।

সারাবাংলা/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন