বিজ্ঞাপন

প্রমাণ করেছি— আমরাও পারি: প্রধানমন্ত্রী

June 22, 2022 | 2:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জনগণের সাহসে সাহসী হয়েই নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

সবার প্রতি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই যার যার জায়গা থেকে যেভাবে হোক, এই উৎসবে সবাই সামিল হবেন। এটি (পদ্মা সেতু) আমাদের মর্যাদার বিষয়। আমরাও পারি, এর মাধ্যমে এটাই আমরা প্রমাণ করেছি।

বুধবার (২২ জুন) সকালে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রসঙ্গক্রমে কথাগুলো বলেন তিনি।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রথমে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লিখিত বক্তব্যে সিলেট-সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি ও সরকারের তৎপরতা তুলে ধরেন তিনি। ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাওয়া পদ্মা সেতুর বিভিন্ন তথ্যও তুলে ধরেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের কারা (পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের) প্ররোচনা দিয়েছিল, সেটি আগে ধরেন। সেটাই তো বড় কথা যে কারা তাদের উৎসাহিত করেছিল। আমি তো আগেই বলেছি, নিজের ভাঁড় ভালো না তো গোয়ালার ঘিয়ের দোষ দিয়ে লাভ কী! অর্থাৎ, আমাদের এখানকার এরাই তো প্ররোচনা দিয়েছে। অন্যের দোষ ধরে লাভ কী!

বিজ্ঞাপন

আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ২৫ তারিখে (২৫ জুন) আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করব। আমি দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। তাদের সাহসে সাহসী হয়েই নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। সেই জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

‘সেই সঙ্গে বলব, উৎসব সবাই করবে। কিন্তু প্রত্যেকে একটু ধৈর্য ধারণ করবে, নিয়ম মানবে। কোনোরকম দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবে। সবাই যার যার জায়গা থেকে যেভাবে হোক, এই উৎসবে সবাই সামিল হবে। এটি আমাদের মর্যাদার বিষয়। আমরাও পারি, এটাই আমরা প্রমাণ করেছি এই সেতুর মাধ্যমে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যেন অপমানিত হতে না হয়, তার জন্য যা যা করার আমি তাই করতাম। তখন আমাদের নিজের অনেক লোক আবার চাচ্ছিল তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করার। বারবার আমাকে এ-প্রস্তাব, সে-প্রস্তাব দিচ্ছিল। সেজন্য আমাকে ধৈর্য ধরতে হয়েছে। কিন্তু আমি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলাম এবং যখন সময় চেয়েছে, আমি তখন বলেছি— আর না।

বিজ্ঞাপন

এসময় সবাইকে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান এবং দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো জোট এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো উদ্বেগ জানিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকার সমুন্নত রেখে দেশকে আরও সামনে নিয়ে যেতে কোনো বিশেষ পদক্ষেপ রয়েছে কি না— প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন একজন সাংবাদিক।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো চাপের মুখে নতিস্বীকার করেনি এবং করবেও না। আর মানবাধিকার আমাদের শেখাতে আসবে কারা? যারা খুনিদের আশ্রয় দেয়, আর যে দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে গুলি হয়, ছাত্রছাত্রীরা মারা যায়, রাস্তাঘাটে পুলিশ গলায় পা দিয়ে পিষে মানুষ মেরে ফেলে— তারা আমাদের কী মানবাধিকার শেখাবে? হ্যাঁ, এগুলো নিয়ে কথা উঠবে, আর আমাদের কিছু লোক নাচবেও। কিন্তু আমাদের যে আত্মবিশ্বাস আছে, আমরা সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই চলব। জনগণের শক্তি নিয়ে চলব।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন