‘ধর্মঘট ডেকে রংপুরকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে সরকার’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রংপুর: বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, রংপুরে বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতেই পরিবহন ধর্মঘট। আর এই ধর্মঘট ডেকে পুরো বিভাগকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে সরকার।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এ সাংসদ বলেন, কয়েক দিন পুলিশ ভালো ভূমিকা পালন করলেও গতকাল রাত থেকে তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকা আগত বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল কলেজে আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশ সেসব নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের ঠিক আগের দিন তিন চাকার অবৈধ যানচলাচল ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবিতে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির টানা ৩৬ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে দূরদুরান্ত থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন বলেন, সরকার যতই বাধা দেয়ার চেষ্টা করুক এই গণসমাবেশকে কোনোভাবেই দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা আগামীকাল দেখাবো বিএনপি জনগণের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে আমাদেরকে বাধাগ্রস্থ করছে সরকার। এর আগেও বেশ কয়েকটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরিবহন ধর্মঘট দিয়ে বাধা দেয়ার সৃষ্টি করেছিল কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। সারা দেশের বিভাগীয় সমাবেশ শেষে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যে মহাসমাবেশ হবে তার মধ্য দিয়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে সমাবেশের একদিন আগেই রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে এসে সমবেত হতে শুরু করেছে দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বিকেলে খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হচ্ছে তারা।

সমাবেশ ঠেকাতে পরিবহন ধর্মঘট বিএনপি এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার উদ্দেশেই এমন অভিযোগ তাদের। কেন পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে তা তারা জানেন না এবং পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

সারাবাংলা/এনইউ