বিজ্ঞাপন

সমাবেশের নামে বিএনপি পিকনিক করছে: তথ্যমন্ত্রী

November 20, 2022 | 5:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেট

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমাবেশের নামে বিএনপি বড় পিকনিক করছে এবং সেজন্য চাঁদাবাজি করছে। রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপির সমাবেশগুলো আসলে বড় পিকনিক। সিলেটের সমাবেশে তারা তিনদিন আগে গেছে, হোটেলে খাওয়া-দাওয়া, তাস খেলা আবার মাঠের মধ্যে তাবু টানিয়ে রান্নাবান্না করে খেয়েছে-এটা একটা বড় পিকনিক।

তিনি বলেন, শীতের সময় আমরা যেমন পিকনিকে যেতাম, বিএনপির নেতাকর্মীরাও শুধু সিলেট অঞ্চল থেকে নয়, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, ঢাকা থেকেও গেছে এবং সেখানে গিয়ে সমাবেশের নামে বড় পিকনিক করেছে। এবং এগুলোর জন্য সারাদেশে চাঁদাবাজি করছে। অনেক ব্যবসায়ী আমাদেরকে অভিযোগ দিয়েছেন-বিএনপি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে বা করার চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকতার নামে কারো রাজনীতি করা উচিত নয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল সিলেটে বিএনপির এবং গাজীপুরে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ হয়েছে। উপস্থিতির বিচারে দু’টি সমাবেশেই সমপরিমাণ লোক সমাগম হয়েছে বরং গাজীপুরের সমাবেশে কারো কারো মতে বিএনপির সিলেটের সমাবেশের চেয়ে বেশি মানুষ হয়েছে। যদিওবা সেটি কোনো বিভাগীয় বা জেলা সমাবেশ নয়, সেটি ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
কিন্তু কোনো কোনো কাগজে, অনলাইনে দেখলাম যে গাজীপুরের সমাবেশের ছবিটা দিয়েছে মঞ্চের এবং দর্শকের একটা অংশ মাত্র। আর বিএনপির সমাবেশের ছবিটা দূর থেকে নিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে মনে হয় অনেক লোক হয়েছে। অবশ্যই বিএনপির সমাবেশ হবে সেটি পত্রপত্রিকায় প্রচার পাবে। কিন্তু এ ধরণের উপস্থাপনা সমীচীন কি না আপনাদের কাছে প্রশ্ন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে এ ধরণের অপসাংবাদিকতা করা উচিত নয় বা সাংবাদিকতার নামে রাজনীতি করা সমীচীন নয়। অনেক সময় দেখা যায় সাংবাদিকরা হাউজে যে রিপোর্ট, যে ছবি দিয়েছেন সেটি এডিটিং প্যানেলে গিয়ে পরিবর্তন হয়ে যায়। এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া হলে বিএনপি পুরো ঢাকা শহরে সমাবেশ করবে- বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি যে ধরণের গণসমাবেশ করতে চায় সে জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে পূর্বাচল। এছাড়া মিরপুর ও বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়েও জায়গা আছে, সেগুলোও অনেকে বলছে। বিএনপি যে সভা সমাবেশ করছে, সরকার তাদেরকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছে। গতকাল সিলেট শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ ছিলো, যাতে তারা নির্বিঘ্নে সভা সমাবেশ করতে পারে। আর আমরা যখন সভা সমাবেশ করতাম, তখন পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিপেটা করতো, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতো আর বিএনপি আমাদের সমাবেশে বোমা ছুঁড়তো। এটিই হচ্ছে তাদের সাথে আমাদের পার্থক্য।

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো সমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না নিয়ন্ত্রণ করি না, করাও হবে না। কিন্তু সমাবেশের নামে যদি কেউ বিশৃঙ্খলা করে তাহলে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের স্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি সমাবেশের নামে নানা জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বাস ট্রাক পুড়িয়েছে. মানুষ পুড়িয়েছে। আর ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল। বিজয়ের মাসে ১০ ডিসেম্বর যদি পাকিস্তানপন্থী বিএনপির লোকজন, মির্জা ফখরুলরা ঢাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় তাহলে জনগণ তাদেরকে পাকিস্তানিদের মতোই আত্মসমর্পণ করাবে।

‘বিএনপি তারেক রহমানকে ফিরিয়ে এনে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো দেশ স্বাধীন করবে’ বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারেক রহমানের কথা বললেই মানুষ আঁৎকে উঠে। এদেশের মানুষের কাছে তারেক রহমান হচ্ছে দুর্নীতির প্রতীক, সন্ত্রাসের প্রতীক, নৈরাজ্যের প্রতীক।

তারেক রহমান দেশকে পরপর দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করার প্রতীক, হাওয়া ভবনের লুটপাটের প্রতীক এবং দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে উনারা দেশে আন্দোলন করবে অর্থাৎ তারা আবার জ্বালাও-পোড়াও শুরু করবে, আবার মানুষ পোড়াবে। জনগণ এগুলো হতে দেবে না। তারা যতই তারেক রহমানের কথা বলে ততই তারা জনগণ থেকে দূরে সরে যায়।

‘সরকার গায়েবি মামলা করছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোনো গায়েবি মামলা করছে না। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব গায়েবি কথাবার্তা বলছেন। আগের মামলায় যারা জামিনে আছে তাদের কিছুই করা হচ্ছে না, যাদের জামিন বাতিল হয়েছে তাদের তো পুলিশ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধরবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন