February 10, 2023 | 7:01 pm
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পরিপূর্ণ উদ্যোগে আমাদেরকে মাঠে নামতে হবে। সম্মেলনের পর একটি গা-ছাড়া ভাব! কেমন কেমন যেন গা-ছাড়া ভাব আছে!
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে একথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন।
সরকার হঠাতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ইন লেটার অ্যান্ড ইন স্পিরিট; আজকে আমাদের ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আমাদেরকে মাঠে নামতে হবে পরিপূর্ণ উদ্যোগে। একটি গা ছাড়া ভাব সম্মেলনের পর। কেমন কেমন যেন একটা গাছাড়া ভাব আছে!’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের এখন আমাদের ইউনাইটেড ইফোর্ট লাগবে। হঠাৎ করে দরকার হতে পারে কোনো একটি ইমার্জেন্সি বিষয়ে কথাবার্তা বলা দরকার। তখন অফিসে যদি আমাদের উপস্থিত নেতারা উপস্থিত থাকেন তাদের সঙ্গে পরামর্শ করা যায়। সব ব্যাপারে নেত্রী নাক গলাবেন, এ সময় তো নেত্রীর নেই। তিনি আজকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন।’ সে অবস্থায় তাকে পার্টির ঠুনকো ব্যাপারেও বিব্রত করা আমি মনে করি উচিত নয় বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তার অনেক বেশি ব্যস্ততা রাষ্ট্রীয় কাজে। তারপরও তিনি খোঁজখবর রাখেন। সব ব্যাপারে খোঁজখবর তিনি রাখেন এবং বিভিন্ন জায়গায় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন সমস্যা হলেও সেটি তিনি এসএমএস করে পাঠান অথবা ফোন করে বলেন। শুধু আমাকে না, জয়েন সেক্রেটারি, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, প্রেসিডিয়াম মেম্বার এই লেভেলেও যাকে যেখানে প্রয়োজন মনে করেন, আমাদের সম্পাদকমণ্ডলী; তাদের অনেকের সঙ্গে তিনি মতবিনিময়, বিষয়টি অবহিত করেন সমাধানের জন্য।’
দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের হাতে ডিসেম্বর মাস খুব বেশি সময় নয়। এখন আমাদের প্রতিদিনেই বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে নেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
দলের বিষয়ভিত্তিক সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘দয়া করে যত দ্রুত সম্ভব খসড়া তৈরি করেন উপ-কমিটির। সময় আর নেই। করব করব বললে হবে না, নির্বাচন ডিসেম্বরে। উপ-কমিটিগুলো তাড়াতাড়ি করে ফেলুন।’
এছাড়া গত বছর সম্মেলন হয়ে গেলেও বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও এখনও যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, স্বাচিপের পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা না হওয়ার কারণেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
‘ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কিছু কমিটি এখনও ঘোষিত হয়নি। উত্তরের সেক্রেটারি আশ্বস্ত করেছেন তিনি তাড়াতাড়ি দেবেন। দক্ষিণও আমাকে বলে গেছে তারাও দিতে পারবেন। এগুলো দ্রুত করা দরকার। আমাদের অনেক কাজ বাকি। আমাদের টিম ওয়ার্ক করতে হবে। ঘরে ঘরে যেতে হবে। এটি হলো আজকে নেত্রীর নির্দেশনা এবং টিম ওয়ার্ক করার জন্য আটটি বিভাগীয় কমিটি আছে। নতুন যেহেতু সম্মেলন হয়েছে। এই কমিটির পুনর্গঠন জরুরি হয়ে গেছে। যদি কেউ ইনঅ্যাকটিভ হয়, না রাখাই ভাল। এখন আমাদের অ্যাকটিভ লোক দরকার।’
কর্মসূচির ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘যে যেটাই বলুক, আমরা আমাদের সমাবেশ করব। আগামীকাল ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের শান্তি সমাবেশ আছে। আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকছেন। ১১ ই মার্চ ময়মনসিংহ এবং ১৮ ই মার্চ বরিশালে এই দুটি বিভাগে মহাসমাবেশের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ বিষয়েও যার বিভাগ আছে এখন থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।
সারাবাংলা/এনআর/একে