বিজ্ঞাপন

ঢাকামুখী পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে চাই: মেয়র তাপস

May 10, 2023 | 1:44 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোকে সংরক্ষণ করে দেশি এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে গড়ে ঢাকামুখী পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বিজ্ঞাপন

মেয়র বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ঢাকার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে সংরক্ষণ করা ও দ্বিতীয় লক্ষ্য, দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য এমন ব্যবস্থা করা যাতে তারা ঢাকায় এসে এগুলো সুন্দরভাবে দেখতে ও উপভোগ করতে পারেন।

বুধবার (১০ মে) ঐতিহ্যবলয় পাঁচের অন্তর্গত ঢাকেশ্বরী মন্দির, লালবাগ এলাকা পরিদর্শনে এসে মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘বহির্বিশ্বে যেমন দেখি ঐতিহ্যবাহী শহরকেন্দ্রিক পর্যটনকেন্দ্র ও পর্যটনশিল্প গড়ে ওঠে, তেমনি আমরা ঢাকামুখী পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে চাই। সেই উদ্দেশ্যেই ঢাকার চারপাশে সাতটি ঐতিহ্যবলয় গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা চাই ঢাকা শহর পর্যটনমুখী হোক, পর্যটনকেন্দ্রিক হোক। মহাপরিকল্পনার আওতায় আমরা পরামর্শকদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। তারই প্রেক্ষিতে আজ আমরা ঐতিহ্যবলয় পাঁচ পরিদর্শনে এসেছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘একজন পর্যটক এলে সে কীভাবে আসবে, কী কী দেখবে, কীভাবে চলাচল করবে, সেই বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নির্ণয় করে কীভাবে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যায় তা দেখা হবে। যাতে বিদেশ থেকে পর্যটকরা এলে স্থানগুলো দেখে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারেন।’

পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে কী করা হবে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ‘ঢাকেশ্বরী মন্দির, লালবাগ কেল্লা আমাদের ঐতিহ্যবলয় পাঁচের অংশ। দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত স্থাপনা লালবাগ কেল্লার কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এটাসহ পুরানো যেসব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আছে সেগুলো কীভাবে সংস্কার করা যায় তা আমরা ভেবে দেখছি।’

বিজ্ঞাপন

‘আবার আহসান মঞ্জিলকেন্দ্রিক একটি, বড় কাটারা-ছোট কাটারা, রুপলাল হাউজকেন্দ্রিক আলাদা আলাদা বলয় রয়েছে। আজ আমরা একটি বলয় ধরে শুরু করছি। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্য বলয়গুলোতেও যাওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য একজন পর্যটক হেঁটে হেঁটে আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টায় পুরো এলাকা ঘুরে দেখতে পারবেন। আমরা এর উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে দেব। আমরা বুড়িগঙ্গা তীর ধরে খেলার মাঠ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করছি যাতে সেখানেও ঘুরতে যাওয়া যায়।’

ইতিহাসবিদ ও শিক্ষক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘আমাদের একটা ধারণা হয়েছে উন্নয়ন মানে শুধু আর্থিক উন্নয়ন। কিন্তু উন্নয়ন মানে আসলে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যেরও উন্নয়ন। যে কারণে এই ঐতিহ্য বলয় সৃষ্টির চেষ্টা। এই প্রথমবারের মতো আমরা একজন মেয়র পেয়েছি যিনি এই বিষয়গুলোতে আগ্রহী। এই কাজে আমরা যদি সবার সহযোগিতা পেয়ে সম্পন্ন করতে পারি, তাহলে ঐতিহ্যগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।’

আজ আমরা পাঁচ নম্বর রুটে পরিদর্শনে এসেছি। আমরা চাই যখন কেউ একটি রুট ধরে যাবেন, তখন সেখানে যাওয়ার রাস্তা, থাকার ব্যবস্থা, খাবারের দোকান, বুটিক দোকান আছে কিনা- সেগুলো নিশ্চিত করা। বিদেশে গেলে আমরা যে জিনিসটা পাই, তা ঢাকাতেও নিশ্চিত করা। এভাবেই আমরা ঢাকা শহরকে রক্ষা করতে পারি, নাহয় শুধু ইমারত তৈরি করে ঢাকা শহরকে রক্ষা করা যাবে না।

পরে মেয়র ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে লালবাগ কেল্লা পর্যন্ত হেঁটে যান ও আশপাশের কী কী স্থাপনা ঐতিহ্যবলয়ের মধ্যে জায়গা পাবে তা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সামনের ফুটপাতে অবস্থিত পুলিশ বক্স সরানোর ও শুকনো গাছের গুঁড়ি কেটে ফেলার নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন