বিজ্ঞাপন

ভারত চন্দ্রবিজয়ী আমরা দিগ্বিজয়ী

September 2, 2023 | 3:26 pm

আনোয়ার হাকিম

আমরা সব কিছুতেই এক পা আগাইয়া থাকি। সেই কবে ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও সমাজ সংষ্কারক গোপাল কৃষ্ণ গোখালে বলিয়া গিয়াছেন, “হোয়াট বেঙ্গল থিংক্স টুডে ইন্ডিয়া থিংক্স টুমরো”। এইখানে বাংলা আর বাঙ্গালীদেরকে উদ্দেশ্য করা হইয়াছে। এই বাণীতে উজ্জীবিত হইয়া আমরা ইহাকে মুখস্থ, কন্ঠস্থ আর উদরস্থ করিয়া লইয়াছি। ভাবটা এমন যে স্বীকৃতি মিলিয়া গিয়াছে, খামোখা আর কসরতের কি দরকার? সেই হইতে আমরা প্রজন্ম পরম্পরায় মুখ চর্চা করিতেছি আর চায়ের স্টল গরম করিতেছি।

বিজ্ঞাপন

এখন কাজের কথায় আসি। গত ২৩ আগস্ট ২০২৩ ভারতের চন্দ্রযান চন্দ্রের দক্ষিণ অংশে সফলভাবে অবতরণ করিয়াছে। দক্ষিণ অংশে ইহাই কোন দেশের প্রথম অবতরণ। স্যাটেলাইটের কল্যাণে উহা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করিয়াছে। ১৫১ জন বিজ্ঞানীর বিনিদ্র রজনী আর কয়েক মাসের নিরলস সাধনার সফল পরিসমাপ্তিতে মহাকাশ গবেষণাস্থল হর্ষোৎফুল্ল হইয়া উঠিয়াছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশ এই ১৫১ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে মহিলা বিজ্ঞানীর সংখ্যা কম করিয়া হইলেও অর্ধ শতাধিক হইবে। হর্ষোৎফুল্ল সেই নারীদের সাজসজ্জা আর পোশাক- আশাকে মেক ওভারের ছোঁয়া ছিল না। তবে মেধার ছাপ যে ছিল তাহা তাহাদের বুদ্ধিদীপ্ত সহাস্য উপস্থিতিতেই প্রমাণ পাওয়া যায়। এই সব লইয়া ভারতীয় মিডিয়া ব্যাপক সোচ্চার। উজ্জীবিত ভারতীয়রা লেখায়-রেখায়, বচনে-সম্ভাষণে সরব। সমগ্র জাতি আনন্দ-বন্যায় ভাসিতেছে।

এখন চন্দ্র বিজয়ের নানারূপ নেপথ্য তথ্য মিলিতেছে। বলা হইয়াছে এই রকেট উৎক্ষেপনে খরচ হইয়াছে ছয় শত পনের কোটি টাকার মত। চন্দ্র বিজয়ের মত এইরূপ একটা চরম ও পরম সার্থকতা মাত্র ছয় শত কোটি টাকায় অর্জিত হইয়াছে শুনিয়া পার্শ্ববর্তী দেশ হিসাবে আমরা যারপরনাই নড়িয়া চড়িয়া বসিয়াছি। এই লইয়া নানা কথা, নানা কার্টুন, নানা রঙ্গ-ব্যঙ্গ আর ট্রল সর্বত্র ননস্টপ চলিতেছে। বাঙ্গালী প্রসঙ্গ না থাকিলেও প্রসঙ্গ পয়দা করিয়া ফাটাফাটি রকমের কাব্যনাট্যের অবতারণা করিতে পারে। সেইখানে এইরূপ একটা টাটকা খবর সবার অলক্ষ্যে হাওয়া হইয়া যাইবে ইহা কি সম্ভব?

তাই এত কথা, এত মাথাব্যথা আর এত ছুঁতানাতা তুলিয়া ধরিয়া বিষয়টিকে ‘টক অব দা কান্ট্রি’ হিসাবে জাগরুক রাখিয়াছে। কেউ কেউ ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র-র সহিত আমাদের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্পারসো-র সচিত্র তুলনা করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন। পাবলিক গবেষণা করিয়া বাহির করিয়াছে যে ভারতীর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র প্রধান সেই দেশের প্রথিতযশা একজন নভো: বিজ্ঞানী। তাহার বিদ্যার বহর আর কর্ম যজ্ঞের তালিকা দেখিয়া টাসকি খাইতে হয়। পক্ষান্তরে দুষ্টু পাবলিকরা ইহাকে পুঁজি করিয়া আমাদের মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত কেন্দ্র স্পারসো-র প্রধান কর্তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তাহার অভিজ্ঞতার চিত্র তুলিয়া ধরিয়াছে। বলাবাহুল্য, আমাদের দপ্তর প্রধান হইলেন একজন কৃষি বিজ্ঞানী। এখন তাহাকে লইয়া আর প্রতিষ্ঠানকে লইয়া ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনা হইতেছে। অন্য অর্থে আমাদের অভিলাষ, কৃত কর্ম আর দৌড়ের একটা সার্কাস্টিক চিত্র তুলিয়া ধরা হইয়াছে। এইখানে চুপ করিয়া বলিয়া রাখি, কৃষি বিজ্ঞানীকে নিয়াই যদি পাবলিক এইরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় তাহা হইলে সেই জায়গায় যদি ঘটনাক্রমে একজন কলা বিজ্ঞানী উপবিষ্ট থাকিত তাহা হইলে অবস্থা কী রূপ হইত? কেউ কেউ পার্বত্য তিন জেলায় ব্রিটিশ আমলের উইলি জীপকে জোড়াতালি দিয়া যাত্রী পরিসেবা দেওয়ার চিত্রও তুলিয়া ধরিয়াছেন। সেই গাড়ীর নাম কে, কবে, কেন চাঁদের (চান্দের) গাড়ী নাম দিয়াছিল তাহা আজ জানিবার উপায় না থাকিলেও ইহার অস্তিত্ব সেই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে নিত্যদিন পরিলক্ষিত হইতেছে।

বিজ্ঞাপন

কথা আরো উঠিতেছে। চট্টগ্রাম – কক্সবাজার রাস্তার সেতু কালভার্ট সহ কিলোমিটার প্রতি ব্যয় ধরা হইয়াছে পাঁচ শত ছাব্বিশ কোটি টাকা। সুচতুর পাবলিক কোথা হইতে যে এই সব তথ্য চিত্র মুহুর্তেই বাহির করিয়া ফেলিতেছে তাহা জানিবার পক্ষে কৌতুহল উদ্দীপক সন্দেহ নাই। কিন্তু হজম করিবার পক্ষে অবশ্যই বেদনদায়ক। বেশ কয়েক মাস আগে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একদল ছাত্র ধুমকেতু নামে এক ক্ষুদ্র রকেট তৈরি করিয়া পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করিয়াছিল। উহাদের খবর আর কেউ রাখে না। মিডিয়া উহাকে হেডলাইন করিয়া দায়িত্ব শেষ করিয়াছে। আর কে, কি করিয়াছে জানা যায় নাই।

আমরা আছি আমাদের দিগবিজয় লইয়া। আমরা বীরের জাতি। লড়াকু জাতি। আমাদের আছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড সহ অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা লইয়া আমাদের নিরীক্ষা-বিলাসিতা ব্যাপক। কোন কিছুতেই আমরা থামিয়া নাই। আমরা আওয়াজে প্রকম্পিত করিতে পারি চারিদিক, দাবী উত্থাপনে অভাবিত সৃজনশীল মেধার অধিকারী, যুক্তিতর্কে তর্কবাগীশ, আবেগে টইটম্বুর, রাগে-গোস্যায় ডিনামাইট সদৃশ আর দুই নম্বরী ছলাকলায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমরা ইচ্ছা করিলেই সড়ক অচল করিয়া দিতে পারি, খায়েস হইলেই প্রকল্প বানাইয়া উহাকে আকাশচুম্বী করিতে পারি। কোম্পানী গঠন করিয়া ফাঁদ পাতিয়া আমানত বাগাইয়া নিতে আমাদের সময় লাগে না। লোভাতুর পাবলিক দুর্জনের মিষ্টি কথায় সর্বস্ব সঁপিয়া দিতে পিছপা হয় না। কামেল লোকেরা এইসব আহরিত পুঁজি বগল দাবা করিয়া মুহুর্তেই দেশের সীমানা পার হইতে পারে, বিদেশে গিয়া চরম সুখী মুখ করিয়া ফেসবুকে ভি-চিহ্নিত পোস্ট দেয়। কেউ কেউ ব্যাংকের ভল্ট হাওয়া করিয়া অতি সঙ্গোপনে সফলভাবে স্থানান্তর কার্য সমাধা করিতেছে। সিন্ডিকেট তাহাদের তেলেসমাতি দিয়া পাবলিককে সারা বছর দৌড়ের উপর রাখিয়াছে। পাবলিক ক্লান্ত হইয়া যে এক পিস ডিম খাইবে, দৌড়ের মাঝে শুষ্ক গলায় যে একটা ডাবের পানি ঢালিয়া তৃপ্ত হইবে তাহারও উপায় নাই। ইহা লইয়া কথা বলিলে কানাডা, আমেরিকা আর ইউরোপের বাজার মূল্য তালিকা তৎক্ষনাৎ উত্থাপন করা হইবে। মাথাপিছু আয়ের নানা অংক শুনানো হইবে। নিত্য নতুন চাঞ্চল্যকর খবরের ভীড়ে পাবলিক ক্লান্ত-শ্রান্ত হইয়া ভুলিয়াই বসিবে কি লইয়া যেন এত আলোচনা -সমালোচনা হইতেছিল? এইসবের ভীড়ে গোলে মালে ধুলায় অন্ধকারের মত হারাইয়া যাইবে ভারতের চন্দ্র বিজয়ের কথা, আমাদের ধুমকেতুর আতুড়ঘরের চিত্র, যথাস্থানে যোগ্য লোকের পদায়ন, পদোন্নতি আর পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজনীয়তা। দিগবিজয়ে আমাদের তো আরো কত শত দিক রহিয়াছে। খামোখা এই সব লইয়া মাঠ গরম করিবার কি আছে?

বাঙ্গালী স্মার্ট জাতি। অযথা হাজার কোটি টাকা খরচ করিয়া আমরা কেন চন্দ্রালোকে মহাকাশ যান পাঠাইতে যাইবো? ভারত পরাশক্তি হইতে চাহিতেছে। ইহা তাহাদের জন্য আবশ্যকীয় হইয়া উঠিয়াছে। আমরা এতটা অর্বাচীন নই। ভারত রুপি খরচ করিয়া রকেট পাঠাইবে। আমরা এই খাতে অযথা ইনভেস্ট করিতে যাইবো কেন? বরং আমরা তাহার নিকট হইতে ডলার খরচা করিয়া আমাদের চাহিদা মত তথ্য কিনিয়া লইবো। ইহাতে আমাদের সময়, শ্রম, মেধার অপচয় রোধ হইবে, সফলতা- ব্যার্থতার টেনশন থাকিবে না। সিঙ্গাপুর যদি মালয়েশিয়ার নিকট হইতে যুগ যুগ ধরিয়া পানি ক্রয় করিয়া খাইয়া এত উন্নত হইতে পারে তাহা হইলে আমরা কেন ভারতের নিকট হইতে কিছুমিছু প্রয়োজনীয় তথ্য কিনিতে পারিব না?

বিজ্ঞাপন

চারিদিকে আমাদের আজ জয়জয়কার। আমরা নির্জন, বায়ুশূন্য, মরুময় চাঁদে যাইতে চাই না। আমরা বিশ্বের সকল দেশে এক টুকরা বাংলাদেশি বেগম পাড়া গড়িতে চাই। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশাল বিশাল বাড়ী, ভবন ক্রয় করিয়া উহাতে চন্দ্র বিজয়ের মত বাংলাদেশি পতাকা উড়াইতে চাই। বিশ্ব মিডিয়ায় বৃহৎ ভবনের মালিক হিসাবে আমাদের নাম উৎকীর্ণ করিতে চাই। সুইস ব্যাংক আমাদের করায়ত্ত করিতে চাই। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হইয়াছে, হউক। আমরা লন্ডনের বুকে বাঙ্গালী পাড়া সম্প্রসারণ করিয়া সেখানে পাড়ায় পাড়ায় একাধিক কমিটি গঠন করিয়া সভাপতি, সম্পাদকের আসন অলংকৃত করিব। শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের জন্য মাঝে মধ্যেই মল্ল যুদ্ধের আয়োজন করিব। ইহাতে বাঙ্গালী যে বীরের জাতি উহা বিশ্বের বুকে ত্বরিত গতিতে প্রতিষ্ঠিত হইবে।

অনেক হইয়াছে। কালে কালে, ভুলে-ভালে অনেক জল গড়াইয়াছে। এখনো সময় আছে ঘুরিয়া দাঁড়াইবার। দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলাকে ঢালিয়া সাজানো জরুরি হইয়া পড়িয়াছে। সেই সব জায়গায় যোগ্য লোকদের পদায়ন সহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিতে হইবে। উদ্ভট প্রকল্প বাদ দিয়া বিজ্ঞান মনস্ক প্রকল্প গ্রহণ করিতে হইবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুলাকে আরো বেশি কর্তৃত্ব ও বরাদ্দ দিতে হইবে। ইহাদের কাজের দেখভাল করিবার জন্য ছোট আকারের কমিটি থাকিতে পারে। তবে ইহার সদস্যদেরকেও স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ হইতে হইবে। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের কাজ কি ইহা লইয়া প্রশ্ন দেখা দেওয়াই স্বভাবিক। এলিফ্যান্ট রোডের বিশাল এলাকা জুড়িয়া গড়িয়া উঠা বহু দিনের পুরানা সাইন্স ল্যাবরেটরির আউটকাম কি তাহা পর্যালোচনা করিবারও সময় অতিবাহিত হইয়া গিয়াছে। জনগণ তাহাদের আউটকাম সম্মন্ধে কিছুই জানে না। তাহাদের উল্লেখযোগ্য অবদান কী তাহাও স্পষ্ট না। বহু বছর ধরিয়া উন্নত মানের বহুমুখী চুল্লী আর স্পিরিলুনা জাতীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ শৈবাল আবিষ্কারের ঢেঢড়া পিটানোর আওয়াজও এখন আর শুনা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয় গুলাতে গবেষণা কর্ম তলানীতে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন মাঝে মধ্যে এইরূপ প্রতিবেদন দিয়া খালাস। আসলে অতিরিক্ত স্বায়ত্বশাসনের সুবিধা লইয়া শিক্ষকগণ গবেষণা ছাড়িয়া কী করিতেছেন তাহা এখন আর গবেষণা করিয়া দেখিবার পর্যায়ে নাই। পাবলিক সব জানে, সব বুঝে। তরুণ বিজ্ঞানীদের সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে বহুকাল যাবত জেলা, উপজেলা হইতে জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হইয়া থাকে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের খবরও পাওয়া যায়। পরে তাহাদের কি হয় জানা যায় না। এই সব তরুণ বিজ্ঞানীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করিতে হইবে। সবচেয়ে বড় কথা পুরা বিষয়টিকে পবিত্রতম দায়িত্ব হিসাবে লইতে হইবে। একটা জোয়ার তুলিতে হইবে। আমাদের তরুণদের মেধাশক্তি যথেষ্ট রহিয়াছে। অভীষ্ট সুনির্দিষ্ট নাই, অভিভাবকত্ব নাই, প্রণোদনা নাই। এনাফ ইজ এনাফ। এখনই নড়িয়াচড়িয়া বসিবার সময় হইয়া পড়িয়াছে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের ঘুড়িয়া দাঁড়াইবার শুভ বুদ্ধির উদয় হইবে ততই মঙ্গল।

আমাদের কিছু গদবাধা অতি আবেগ রহিয়াছে, যাহার হাত ধরিয়া আমরা পার পাইয়া যাই। ভাবটা এমন যে, চিনা বামনের পৈতা লাগে না। যাহাদের লাগে তাহারা আপাতত নিজেদের পৃষ্ঠদেশে সলিতা লাগাইয়া উহাতে অগ্নি প্রজ্জ্বলন করিয়া দেখিতে পারে চন্দ্রালোকের পথে তাহাদের উড্ডয়ন কতটা সফল বা বিফল হইয়াছে। পৃথিবীতে কে, কি, কেন করিল উহা জানিয়া, শুনিয়া, দেখিয়া আমাদের কি লাভ? কবি বলিয়াছেন, “সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্ম ভূমি”। আমরা তো অনেক আগেই রাণীর আসন অলংকৃত করিয়া ফেলিয়াছি। নতুন করিয়া আবার এত কথা কেন? বাঙ্গালির আর খাইয়া দাইয়া কাম নাই। টপিক পাইলেই মুখ খুলে, চোখ মেলে, উপর দিকে থুতু ছুঁড়ে। ভাবিতেছি এই জাতির কী হইবে?

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা

বিজ্ঞাপন
প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন