বিজ্ঞাপন

লতিফের ‘পরিবারতন্ত্রে’ তানভীরের ‘ধাক্কা’

September 14, 2023 | 10:00 pm

রমেন দাশ গুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ছয় দিনের মাথায় পরিচালক পদ ছেড়েছেন প্যাসিফিক জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর। তরুণ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে আলোচিত তানভীরের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

একসময় চেম্বারে নেতৃত্ব দেয়া প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রাম চেম্বারের ১১৭ বছরের ইতিহাসে পরিচালকের পদত্যাগের এমন ঘটনা বিরল। সাম্প্রতিক সময়ে ঐতিহ্যবাহী এ ব্যবসায়ী সংগঠনে যা হচ্ছে, তাতে ব্যবসায়ীরা বিব্রত।

তানভীরের পদত্যাগের মধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষের বিষয়টি আরও জোরালো হয়েছে। অভিযোগের তীর চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর-পতেঙ্গা আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের দিকে। চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি লতিফ, তার ছেলে ওমর হাজ্জাজ চেম্বারের নতুন নির্বাচিত সভাপতি। এ প্রেক্ষাপটেই জোর আলোচনা চলছে চেম্বার নিয়ে লতিফসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতার ‘পরিবারতন্ত্রে’র কথা।

জানা গেছে, গত ১৫ জুন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালকমণ্ডলী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা ছিল ৬ আগস্ট পর্যন্ত। চারটি ক্যাটাগরিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া ২৪ প্রার্থীর বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাদের পরিচালক নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত পরিচালকরা হলেন— ওমর হাজ্জাজ, তরফদার মো. রহুল আমিন, রাইসা মাহবুব, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, এ কে এম আক্তার হোসেন, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, রকিবুর রহমান টুটুল, মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, আলমগীর পারভেজ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, ইফতেখার হোসেন, গাওহার সিরাজ জামিল, আবু সুফিয়ান চৌধুরী, মাহবুবুল হক, আক্তার পারভেজ, রেজাউল করিম আজাদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ এবং ওমর মুক্তাদির।

৮ আগস্ট নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে পরিচালকমণ্ডলীর সভায় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। এতে বিদায়ী কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ওমর হাজ্জাজকে সভাপতি, তরফদার মো. রুহুল আমিনকে সিনিয়র সহসভাপতি এবং রাইসা মাহবুবকে সহসভাপতি ঘোষণা করা হয়। ওই সভায় চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নুরুন নেওয়াজ, সদস্য মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ও ওয়াহিদ আলম এবং নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সরওয়ার হাসান জামিল উপস্থিত ছিলেন।

নতুন নেতৃত্ব ঘোষণার পরই সংসদ সদস্য এম এ লতিফ ও তার বলয়ের ব্যবসায়ী নেতাদের ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কমিটিতে এম এ লতিফের এক ছেলে ওমর হাজ্জাজ সভাপতি এবং আরেক ছেলে ওমর মুক্তাদির পরিচালক হয়েছেন। চট্টগ্রাম চেম্বারের বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি মাহবুবুল আলমের মেয়ে রাইসা মাহবুব সহসভাপতি এবং ভাই আলমগীর পারভেজ পরিচালক হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

কমিটিতে পরিচালক হয়েছেন নির্বাচনি বোর্ডের প্রধান নুরুন নেওয়াজ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ এবং জামাতা বেনাজির চৌধুরী নিশান।

সারাবাংলার সঙ্গে আলাপে একসময় চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যবসায়ী নেতা এস এম আবু তৈয়ব বলেন, ‘দুঃখজনক হচ্ছে, গত ১০-১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম চেম্বারে নতুন কোনো নেতৃত্ব আসছে না। স্বনামধন্য ব্যবসায়ীরা দূরে সরে গেছেন। এক পরিবারের তিন-চারজন করে লোক দিয়ে পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।’

‘লতিফ সাহেবের দুই ছেলে, মাহবুব সাহেবের মেয়ে-ভাই; আরও দুঃখজনক হচ্ছে— যিনি নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের প্রধান, উনার ছেলে এবং জামাতাকেও পরিচালক করা হয়েছে। উনার ছেলে-মেয়ের জামাই যদি নির্বাচন করেন, তাহলে উনি নির্বাচন কমিশনার কীভাবে হন? অবস্থা এমন হয়েছে— মানুষ ভাবছে চেম্বারটা বোধহয় কেউ দখল করে রেখেছে। কাউকে দোষারোপ করতে চাই না, তবে নিজেই বিব্রত হচ্ছি,’— বলেন এস এম আবু তৈয়ব।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক এম এ সালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘শুধু চট্টগ্রাম চেম্বার নয়, সামগ্রিকভাবেই ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে মানসম্মত নেতৃত্ব উঠে আসছে না। বলয়ের মধ্যে নেতৃত্ব রাখার একটা চেষ্টা তো আছেই। এখন দেখছি সংগঠনগুলো আত্মীয়-স্বজন হয়ে পরিবারের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম চেম্বারে যেটা দেখছি, গত ১৪-১৫ বছর ধরে এখানে কোনো কোয়ালিটি লিডারশিপ উঠে আসছে না। সেজন্য আমরা ভালো সার্ভিস পাচ্ছি না। কাঁচামরিচ থেকে ইন্ডাস্ট্রি পর্যন্ত পুরো ব্যবসা খাতই মানসম্মত নেতৃত্বের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর সভাপতি ওমর হাজ্জাজসহ চট্টগ্রাম চেম্বারের নতুন পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। সংসদ সদস্য এম এ লতিফ উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। তিনি বক্তব্যও রাখেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে পরিষদের ২৪ নেতার মধ্যে সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীরসহ তিনজন অনুপস্থিত ছিলেন। এই অনুপস্থিতি নিয়েও সেসময় আলোচনা হয়।

এরপর বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের চিঠি সভাপতি ওমর হাজ্জাজের কাছে পাঠান। সেটি গ্রহণ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।

চেম্বার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তানভীর বিদায়ী পরিষদে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নতুন কমিটিতে তাকে সভাপতি করার কথা ছিল। আকস্মিকভাবে সাংসদপুত্র ওমর হাজ্জাজকে সভাপতি ঘোষণা নিয়ে মতদ্বৈততা থেকেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।

জানতে চাইলে সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি চার বছর চট্টগ্রাম চেম্বারের সঙ্গে ছিলাম। এক মেয়াদে পরিচালক, আরেক মেয়াদে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। চেষ্টা করেছি ভালোভাবে কাজ করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। দায়িত্বশীল পর্যায়ে থেকে এর বেশিকিছু বলা সমীচীন হবে না। পদত্যাগের অন্য কোনো কারণ আমি বলতে চাই না।’

পরিচালক পদ থেকে তানভীরের পদত্যাগের বিষয়ে সভাপতি ওমর হাজ্জাজের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ এ বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন।

এম এ লতিফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (তানভীর) ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন বলেছেন। সবাইকে অভিনন্দন জানালেন, আবার পদত্যাগও করলেন— এসব বিষয়ে কথা না বলাই ভালো। নানা কারণে উনি হয়তো সভাপতি হতে পারেননি। এখন পদ পেলে ভালো আর না পেলে সবাই খারাপ— এটা নিয়ে আর কী বলতে পারি! আমরা রাজনীতি করি। অনেকে এমপি পদে মনোনয়ন চাইতে পারি। কিন্তু নেত্রী কি সবাইকে মনোনয়ন দিতে পারেন? সবাই কি এমপি-মন্ত্রী হতে পারেন? কাজ করে গেলে একসময় পদ এমনিতেই আসবে।’

পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ প্রসঙ্গে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘কীসের পরিবারতন্ত্র? চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার আছে, সেটার অবস্থা কী? সেখানে এক পরিবারের সাতজন, আরেকজন পরিবারের পাঁচজন পরিচালক। খলিল সাহেব আজ কয় বছর ধরে সভাপতি? সেই সংগঠনে সদস্য ৪৮ জন, আর আমাদের সাড়ে সাত হাজার। কথা শুধু বললেই তো হবে না। ঢাকা চেম্বার, ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বারের অবস্থা কী? সেখানে পরিবারের লোকজন নেতা হচ্ছে না?’

‘চট্টগ্রাম চেম্বার যদি এত খারাপ হতো, তাহলে যারা আজ সমালোচনা করছেন উনারা এতদিন ছিলেন কীভাবে? তানভীরের বাবাও তো একসময় মেট্রোপলিটন চেম্বারে চলে গিয়েছিলেন। আবার ছেলেকে চট্টগ্রাম চেম্বারে পাঠিয়েছেন। তৈয়ব সাহেব, সালাম সাহেব, ইয়াছিন আলী সাহেব— উনারাও তো মেট্রোপলিটন চেম্বারে চলে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ ছেলেকে চট্টগ্রাম চেম্বারে পাঠিয়েছেন। কথা বলার সময় চিন্তা করে বলা দরকার। কেউ নমিনেশন ফরম সাবমিট করেছে, তাকে জোর করে উঠিয়ে নিতে কেউ কি বলেছে? কাউকে সভাপতি করা না করা— সেটা কি আমার একার সিদ্ধান্ত? এখানে পরিষদ আছে, নির্বাচন হচ্ছে, সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমার কী বলার থাকতে পারে?,’— বলেন এম এ লতিফ।

উল্লেখ্য চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিষদ নির্বাচনে সর্বশেষ ভোটগ্রহণ হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩০ মার্চ। ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য এম এ লতিফ সমর্থিত মাহবুবুল আলম-নুরুন নেওয়াজ সেলিম পরিষদ ২৪ পদের মধ্যে ২০টিতে জয়লাভ করে। প্রতিদ্বন্দ্বী মোরশেদ-সালাম ঐক্য পরিষদ জয় পায় চারটি পদে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুবাদে মাহবুবুল আলম প্রথমবার সভাপতি হন। এরপর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিপক্ষ ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি ছিলেন।

মাহবুবুল আলম এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার ছাড়লে সভাপতি হয়েছেন লতিফের ছেলে ওমর হাজ্জাজ। অভিযোগ আছে, গত ১০ বছরে ভোট ছাড়াই এম এ লতিফ-মাহবুব বলয়ের ব্যবসায়ীরাই পরিষদের পদে এসেছেন। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার তার ঐতিহ্য ও গুরুত্ব হারিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম, চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো সংগঠনকে মর্যাদার জায়গায় রাখতে চাইলে অবশ্যই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব তৈরি হয়। কিন্তু অনেক বছর ধরে চট্টগ্রাম চেম্বারে নির্বাচন হচ্ছে না। কখন তফসিল ঘোষণা হয়, কখন মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়, বিক্রির শেষ দিন কোনদিন, কখন প্রত্যাহার করা হয়— কিছুই সাধারণ ব্যবসায়ী সদস্যরা জানতে পারেন না। চেম্বারে কী হচ্ছে, এ নিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কোনো ধারণাই নেই। অবস্থা এমন পর্যায়ে গেছে, শুধু সাংবাদিক নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আমাদেরও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

‘অথচ এটি একটি পাইওনিয়ার চেম্বার। একসময় চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে তারবার্তা পাঠিয়ে সরকারকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হতো। সেই জায়গায় আজ চট্টগ্রাম চেম্বারের অবস্থান কোথায়? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের চোর ডাকছে, ডাকাত ডাকছে— একজন্য ব্যবসায়ী হিসেবে এটি আমাদের জন্য অপমানের, লজ্জার। আমাদের মুখটা ছোট হয়ে যাচ্ছে, আমরা বিব্রত হচ্ছি। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই,’— বলেন এস এম আবু তৈয়ব।

বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এম এ সালাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মতো ব্যবসায়ী নেতারা চট্টগ্রাম চেম্বারে নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত হয়েছেন। সারা বাংলাদেশ তাদের চিনেছে। এখন সেই মানের নেতা কোথায়? তবে আমি শুধু চট্টগ্রাম চেম্বারকে দোষারোপ করতে চাই না। আমরা অনেকে বলি, কিন্তু সামনে আসি না। আমার বয়স হয়ে গেছে। এটুকু শুধু বলি— ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এর থেকে বের হয়ে আসা দরকার।’

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন