বিজ্ঞাপন

বিদ্যালয়ের গেটের মাঝে নলকূপ রেখে চলছে অপরিকল্পিত নির্মাণ

December 3, 2023 | 8:05 am

রিফাত রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলা এলজিইডি এ কাজ বাস্তবায়ন করছে ঠিকই, কিন্তু ‘অপরিকল্পিত নির্মাণ’ দায় নিতে চাচ্ছে না উপজেলা প্রকৌশলী দফতর।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরের তথ্য মতে, চুয়াডাঙ্গা জেলার সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে চলমান এবং শেষ হয়েও গেছে। চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার ৪টি উপজেলায় ৩৬টি প্যাকেজের মধ্যে ৩১টি কাজ শেষ হয়েছে, চলমান রয়েছে আরও ৫টি।

চাহিদাভিত্তিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬ কোটি ৬ লাখ ২ হাজার ১৪০ টাকা ব্যয়ে ৪টি উপজেলায় ২৩টি প্যাকেজের মধ্যে ২২টি কাজ শেষ হয়েছে, চলমান রয়েছে ১টি। প্রাথমিক ভবন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৩২টি প্যাকেজের মধ্যে ৬৭টি কাজ শেষ হয়েছে, চলমান রয়েছে আরও ৬৫টি কাজ।

তবে প্রাথমিক ভবন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহরের কেদারগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নির্মাণ কাজ অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণাধীন ফটকের যাতায়াতের মাঝখানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। ওই নলকূপ না সরিয়েই চলছে নির্মাণ কাজ।

বিজ্ঞাপন

নলকূপ না সরিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের অনুমতি দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে, কাজ দেখভাল নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসেনকে সরকারি কাজে এমন অবহেলার জন্য দায়ী করেছে নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেকে।

এ কাজের প্রাক্কলন করার সময় ফটকের মাঝখানে নলকূপটি বসানো থাকলেও তা কিভাবে নজর এড়ালো তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘এ  কাজটি বিদ্যালয়ের পাশে কেদারগঞ্জপাড়ার ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা করছে। সে কারণে চোখের সামনে অপরিকল্পিতভাবে কাজটি করলেও তা বলা যাচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, ‘প্রকাশ্যে শহরের মধ্যে যদি এলজিইডি এ ধরনের কাজ করাতে থাকে, তাহলে যেখানে দেখার কেউ নেই, সেখানে এই দফতরের প্রকৌশলীরা কাজগুলো কিভাবে বাস্তবায়ন করে?’

নির্মাণাধীন ফটকের মাঝখানে গভীর নলকূপ বসানো থাকা অবস্থায় কিভাবে কাজ চলছে, এমন প্রশ্নে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরিনা আক্তার বলেন, ‘এ নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। কাজ কিভাবে চলছে তা আমাদের জানা নেই।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা পরিষদের দেখিয়ে দেওয়া স্থানেই এলজিইডি কাজের বাস্তবায়ন করে। সে কারণে এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। তারা যেখানে কাজটি করতে বলেছে সেখানেই ফটক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শেখ ফরিদ বলেন, ‘গভীর নলকূপ রেখেই ফটক নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকলেও বিদ্যালয় বা এলজিইডির তরফ থেকে নলকূপটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো আবেদন করা হয়নি। আবেদন করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিলো না। এটা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন