বিজ্ঞাপন

মঞ্জু-ইনু পরাজিত, সমঝোতার ৬ আসনের মধ্যে দুটি পেল শরিকরা

January 8, 2024 | 5:51 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বহু জল্পনা-কল্পনার পর এবার ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর জন্য মাত্র ছয়টি আসন ছেড়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগের নির্বাচনের তুলনায় এই সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম। কিন্তু বাস্তবতা হলো— এই ছয়টি আসনও শেষ পর্যন্ত ঘরে তুলতে পারেনি দলগুলো। ছয়টি আসনের মধ্যে মাত্র দুটিতে তাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জানুয়ারি) দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে বিকেলের পর থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। সন্ধ্যা গড়াতেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আসছিল ভোটের ফল। তখনই দেখা যায়, ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও তাদের ভোটের পরিস্থিতি সঙ্গীন।

ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই তারা জয় পাননি। সবগুলো আসনেই তারা হেরে গেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু পর্যন্ত জিততে পারেননি নির্বাচনে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদকেই সবচেয়ে বেশি আসন ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশারফ হোসেন এবং বগুড়া-৪ আসন থেকে রেজাউল করিম তানসেন ছিলেন প্রার্থী। এর মধ্যে কেবল তানসেনই বগুড়া-৪ আসনে জিততে পেরেছেন। বাকি দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেছেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি আসন ছেড়েছিল আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বরিশাল-২ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ আসনে জোটের প্রার্থী হয়েছিলেন নৌকা প্রতীকে। এর মধ্যে মেনন জিতে আসতে পারলেও বাদশা হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয় ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এবারও তাকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সেখানে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন মহারাজারের কাছে। মহারাজ একসময় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তর রাজনৈতিক দীক্ষা মঞ্জুর কাছেই হয়েছিল বলে মনে করেন ভাণ্ডারিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনের সংশ্লিষ্টরা।

সব মিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা অনেকটাই গৌণ হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যেও জোট থেকে প্রাপ্তিটুকু ভোটের মাঠে ধরে রাখতে না পারায় দ্বাদশ সংসদের তাদের ভূমিকা স্বাভাবিকভাবেই আরও সংকুচিত হয়ে উঠবে।

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন