বিজ্ঞাপন

তাপমাত্রা ১০ডিগ্রির নিচে নামলেও চুয়াডাঙ্গায় বন্ধ রাখা হয়নি স্কুল

January 17, 2024 | 7:40 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চুয়াডাঙ্গা: দেশব্যাপী শীতের তীব্রতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা ছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি)। প্রথমে ১৭ ডিগ্রির নিচে, পরে সংশোধিত নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সেই নির্দেশনা কেবল কাগজেই থেকে গেছে। কার্যত বাস্তবায়ন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও বন্ধ রাখা হয়নি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এধরনের কোনো পত্র না পাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

এদিন সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলছেন, ‘আমাদের হাতে যে পরিপত্র আছে, সেটাতে স্পষ্ট করে বলা আছে সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’ তবে আজ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নামেনি বলে দাবি করছেন তিনি।

বুধবার চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গায় থেমে থেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো। তাপমাত্রা সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ১০.৯ ও ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও বুধবার তা আবার নেমে আসে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

বিজ্ঞাপন

এখন চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের বেড়েছে অস্বস্তি। ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তবে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সরকারি নির্দেশনা দেখে স্বস্তি পেলেও নির্দেশনার অস্পষ্টতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে না পৌঁছানোর কারণে চুয়াডাঙ্গার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিলো বুধবারও। শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা মন্ত্রণালয় দিলেও এ নির্দেশনা মানা হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের নির্দেশনার কথা শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি। ফলে বুধবারও আমার প্রতিষ্ঠান খোলা ছিলো। তবে ভাবছি, কাল থেকে তাপমাত্রা দেখে বন্ধ রাখবো।’

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এধরনের কোনো নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিস দেয়নি। নির্দেশনা পেলে বাস্তবায়ন করা হবে।’

চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস জাহান বলেন, ‘টেলিভিশনে নির্দেশনার ব্যাপারে দেখেছিলাম। তবে জেলা শিক্ষা অফিস এ ধরনের কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় বিদ্যালয় খোলা ছিলো। তবে শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে দুপুর একটার দিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে সবোর্চ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ আছে। স্পষ্ট করে বলা আছে, সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমি খোঁজ নিয়েছি, চুয়াডাঙ্গার সবোর্চ্চ তাপমাত্রা ডিগ্রির নিচে নামেনি। সেজন্য এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

আবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘যারা এ আদেশ মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, মাউশি থেকে গতকাল মঙ্গলবার ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই আদেশ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলেও জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ১৭ নয়, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ থাকবে

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন