বিজ্ঞাপন

ভূতে এখন লাড়া দেয়

February 5, 2024 | 3:21 pm

আনোয়ার হাকিম

কথায় আছে সুখে থাকলে ভূতে কিলায়। আর এখন তা পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে সুখে থাকলে ভূতে লাড়া দেয়। আমাদের গাঙ্গেয় এ অববাহিকার মানুষের জীবন ইতিহাস দীর্ঘ সংগ্রামের। জলবেষ্টিত, জঙ্গলাকীর্ণ অনগ্রসর এ জনপদের মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে মোকাবেলা যেমন করতে হয়েছে তেমনি বহি:শক্তির উৎপাতও সহ্য করতে হয়েছে। এছাড়াও ছিলো সামাজিক সব কুসংস্কার আর অশিক্ষা-কুশিক্ষার অনুশাসন। এই সব বেড়াজাল ছিন্ন করে কেউ একটু সুখের মুখ দেখলে তার পা আর মাটিতে যেন পড়েতে চায় না। ভূত এসে তাকে নানাভাবে ত্যক্ত-বিরক্ত করে, নানাভাবে প্রলুব্ধ করে। মোট কথা শয়তানের ওয়াসওয়াসায় পড়ে তার সুখ হারাম হয়ে যায়। কিলিয়ে কিলিয়ে তাকে সুখ ছাড়া করে। সম্ভবত প্রবাদের উৎপত্তি সেখান থেকেই। এগুলো সে যুগের কথা। এখন যুগ পাল্টেছে। সভ্যতার মেক আপ আরো প্রকট হয়েছে। প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। কানেক্টিভিটি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব এখন এক গ্রামে পরিণত হয়েছে। তাই আজ ইউরোপ, আমেরিকায় যা সদ্য প্রসূত, আগামীকাল তা এশিয়া-আফ্রিকাতে সহজলভ্য। তাই ভূতের উন্নত সংস্করণ হিসেবে আধুনিক শয়তান এখন মানুষজনকে আর ধরে ধরে কিলিয়ে বিপথগামী করে না। এখন শুধু লাড়া দেয়। আর তাতেই বিশ্ব গ্রামের মানুষেরা অদ্ভুত সব আচরণ করে থাকে। এখন তারা নিজেরাই হয়ে উঠেছে শয়তানের সুযোগ্য চ্যালা।

বিজ্ঞাপন

বলাবাহুল্য আমাদের অবস্থা সে তুলনায় আগে অনেকটাই ভাল ছিলো। আমাদেরকে বাগে আনতে শয়তানকে বেশ কোশেশ করতে হত। ব্যার্থতার চরম পর্যায়ে গেলে বশে আনার কন্য কিলাতো। আমরা তখন ‘ইনসান’ ছিলাম। আর এখন আমাদেরকে কিলানোর প্রয়োজন পড়ে না। একটু খানি লাড়া দিলেই শয়তানের আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সফটওয়্যার নিজেদের মধ্যে ইংজেক্ট হয়ে কায়কারবার শুরু করে দেয়।

আমরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। তাদেরকে খেদিয়ে নিজেরা স্টিয়ারিং হাতে নিয়েছি এই ভেবে যে আমরা আমাদের দেশটাকে ওদের চেয়ে ভালো ড্রাইভ করতে পারবো। তাদের খেদিয়েছি সত্য কিন্তু আঁকড়ে ধরে রেখেছি তাদের শিক্ষা আর বাবু কালচার। কালের পালে অনেক হাওয়া লেগেছে। শিক্ষাকে আমাদের মত করে ড্রাইভ করতে গিয়ে আমরা কখনো আহত হয়েছি, কখনো মর্মাহত হয়েছি। কখনো দিকভ্রান্ত হয়েছি, কখনো অভিলাষী উচ্চাকাঙ্খী হয়েছি। কখনো ব্রিটিশকে সহি জ্ঞান করেছি, আবার কখনো পরের কথায় ফোঁড়ন যুক্ত পাঁচমিশালি লাবড়া বানিয়েছি। এখনো সেই লাবড়া বানানোর কসরত চলছে। এ নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হয়েছে, হচ্ছেও। চোখে আংগুল দিয়ে অনেকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে এটা ঠিক না, ওটা পরিত্যাজ্য ইত্যাদি। অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন, আজো হচ্ছেন। যারা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নাড়াঘাটা করছেন তারা অভিভাবক ও আপামর মানুষের ভাষা বুঝতে পারছেন না। কু-লোকে এই কথা বলাবলি করছে যে তারা আপামরের ভাষা আমলেই নিতে চাচ্ছেন না।

ব্রিটিশ উত্তর কারিকুলাম নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। এর মধ্যে অনেক শিক্ষা কমিশনের দিস্তা দিস্তা কাগুজে রিপোর্ট তেষোখানায় পড়ে আছে। জমে থাকা ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে সেগুলো আর আলোর মুখ দেখে নি। অথচ শিক্ষা কার্যক্রম যুগোপযোগী করার নাম করে তুঘলকি কায়কারবার হচ্ছে প্রচুর। কারা যেন মাঝেমধ্যেই ঘুম থেকে উঠে আওয়াজ তুলে, গেলো গেলো; শিক্ষা গেলো। আর অমনি শুরু হয়ে যায় শিক্ষার খোলনলচে পালটানোর প্রকল্প। বাইরে থেকে কারা যেন পরামর্শ দেয়, কারা যেন লাড়া দেয়। আর আমরা তার সাথে তাল মিলিয়ে নাচি। এর ফলে পাশ্চাত্য ঢংয়ের সাথে দেশীয় প্রাচীনত্বকে মিশাল দিয়ে ককটেল জাতীয় নতুন কিছুমিছু পরীক্ষামূলকভাবে বাজারে ছাড়ার প্রয়াস নেওয়া হয়। এ নিয়ে কয়েকদিন তুমুল বাদানুবাদ হয়। তারপর তড়িঘড়ি করে লোক দেখানো প্রেসনোট ইস্যু হয়। এরপর কিছুমিছু সার্জারি করে কি করা হয় তা আর কেউ খেয়াল রাখে না। কখনো পদ্ধতি নিয়ে টানাটানি হয়। কখনো সিলেবাস নিয়ে। কখনো কন্টেন্ট নিয়ে। কারা যেন এগুলো করে মজা পায়! আর কী পায় কে জানে? আর যারা এসবের বিজ্ঞ দলিল লিখক তারা বিদ্যার পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে যা পরিবেশন করেন তা খাদ্যের মেন্যু হিসেবে চটকদার হলেও রুচি ও বিপাক প্রক্রিয়ার পক্ষে অসহনীয় ও বিবমিষার উদ্রেককারী।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষা ব্যবস্থা আর এর কারিকুলাম নিয়ে বছর বছর এরূপ জ্বর-কাঁপুনি হয় কেন? এর উত্তর পরিষ্কার হয় না। যারা এর প্রবক্তা তারা যুগোপযোগী শিক্ষার কথা বলে থাকেন, আধুনিক, বিজ্ঞানমনষ্ক, উন্নত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলে থাকেন। কর্ম উপযোগী শিক্ষার কথাও বলে থাকেন। কথা সত্য, তবে কর্ম ও আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন জাগে। উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা সাধারণ ও ধর্মীয় শিক্ষার তালিম পেয়ে এসেছি প্রাথমিক স্তর থেকে। রাজধানী কেন্দ্রিক কিছু পশ এলাকার অভিজাত শ্রেণীর ছেলে-মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, তথা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অস্তিতের¡ পাশাপাশি ক্যাডেট কলেজ, প্রি-ক্যাডেট, ইংলিশ ভার্সন ইত্যাদি এখন উপেক্ষাযোগ্য বাস্তব। এছাড়াও রয়েছে সরকারি, বেসরকারি, কারিগরি, বিশেষায়িত, ইন্টারন্যাশনাল, মাল্টিন্যাশনাল আরো কত কি ইন্সটিটিউট! বলা হচ্ছে আমাদের শিক্ষা মাধ্যমিক স্তর থেকেই বহুমুখী। একে সাইজ করে একমুখী করলে স্বয়ংসম্পূর্ণ দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে পুরাতন বহুমুখী শিক্ষা কাঠামো বজায় রেখে ভূতের আছড়ের মত ঈক্ষিপ্ত-বিক্ষিপ্ত কাজ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য যেখানে স্পষ্ট নয় সেখানে এর উদ্যোগ-আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ হবেই। সরকারের তরফ থেকে কিছু বিজ্ঞজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা নেড়েঘেটে যা উপস্থাপন করে তা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কেউ দেখেন কিনা, দায়িত্বপ্রাপ্ত লিখকগণ নিজেরাও ভালো মত দেখেন কিনা সন্দেহ আছে। ফলতঃ যা হবার তা-ই হয়। হৈ চৈ হয়। যারা রচনাকার তারা হয় নিশ্চুপ থাকেন, নয়ত যা বলেন তা বুমেরাং হয়ে আত্মঘাতী হয়। এদের পক্ষ হয়ে যারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তাদের আইডেনটিটি নিয়েই আপামর জনগণের প্রশ্ন আছে। এদের মধ্যে বিদগ্ধ বুদ্ধিজীবী যারা থাকেন তাদের কথা সুসময়ের কোকিলের মত শোনায়। তারা ঘটনার আগেও থাকেন না, প্রক্রিয়াকালীনও থাকেন না। তবে ঘটনার পর উদ্ধারকারী নৌযান রুস্তম ও হামজার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে যা বলেন তা সরকারি প্রেসনোটের খসড়া বলে মনে হয়। এর পর তাদের আর পাওয়া যায় না। শীতনিদ্রা বলে একটা কথা আছে। তারা এতেই সিদ্ধ।

সরকারের পক্ষ থেকে যা বিবৃতি আকারে দেওয়া হয় তা সাধারণ মানুষ আমলে নিতে চায় না। তারা জানে প্রো-এক্টিভ না হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতেই এই বয়ান। পাঠ্য বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে এর বিষয়বস্তু ও গুরুত্ব সবকিছু নিয়ে এত কথা উঠবে কেন? এই সহজ প্রশ্নের উত্তর কারো কাছ থেকে পাওয়া যায় না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যাক্তিরা নিজেরা ভালোভাবে দেখলে এই বিতর্ক অনেকটাই প্রশমিত হতে পারে। আর তা না হলে এরূপ হৈ চৈ, এরূপ বাদানুবাদ চলতেই থাকবে। সব কিছুতেই নতুনত্ব বা চমক থাকতেই হবে তা ভাবা অন্যায়। আর মেনে নিতেও কষ্ট হয়। সরকারের সদিচ্ছার সুযোগ নিয়ে কোন মহল কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে স্বপ্রণোদিত হয়ে এরূপ কাজ করছে কিনা তাও সরকারের তলিয়ে দেখা প্রয়োজন।

প্রত্যেক শিশুর ভেতরেই আগামীর ভবিষ্যৎ পিতা লুক্কায়িত থাকে বলে শিশুকাল থেকে পাঠ্যপুস্তক সূত্রে জেনে এসেছি। এখন সেই শিশুর পিতা, অভিভাবক হয়ে এরূপ তেলেসমাতি কান্ড দেখলে দল নির্বিশেষে সকলেই আতংকিত না হয়ে পারে না। এমনিতেই পরীক্ষা পদ্ধতির ঘন ঘন পরিবর্তন নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উষ্মা আছে। ছাত্র-ছাত্রীরাও টেনশনে থাকে নতুন নতুন বয়ান অনুসরণ করতে গিয়ে। শিক্ষকরাও নিজেরা প্রস্তুত না। এসব ভিত্তিকর্ম ঠিক না করে ঘন ঘন পাঠ্যপুস্তকের সূচী পাল্টালে বেসুরো ঠেকবেই। কোন কার্যক্রম পরিবর্তন করতে হলে অন্তত পক্ষে পাঁচ-সাত বছরের পরিকল্পনা নিয়ে বহু আলোচনা, গবেষণা, অনুসন্ধান, ফিডব্যাক শেষে তা গ্রহণ করা হলে এ নিয়ে এত বাকবিতন্ডা হওয়ার কথা না। আমাদের শিশুদের নিয়ে এরূপ এক্সপেরিমেন্ট তাদের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি জাতির জন্যও ভয়ানক। যারা হেলাখেলা ভওে ইগুলো করছেন তাদের অভিসন্ধি সম্মন্ধে কোনরূপ অনুমান করা ঠিক হবে না। তবে তাদেরকেও মনে রাখতে হবে দিনশেষে তারাও পিতা বা অভিভাবক শ্রেণীর। আর যদি মনে করে থাকেন যে তাদের তল্পিতল্পা বিদেশে, দেশের কিছুতেই তাদের কিছু যায় আসে না তাহলে মারাত্মক ভুল হবে। সাময়িক অনুকল্যে হয়ত উতরে যেতে পারেন কিন্তু র্দীঘকালীন মূল্যায়নে অপরাধীর চিরকালীন তকমা আপনাদের কপালে দগদগে ঘায়ের মত জ্বলজ্বল করবে।

বিজ্ঞাপন

বলছিলাম শয়তানের লাড়া দেওয়া প্রসঙ্গে। আমরা বেকারত্ব দূরীকরণে সফল হতে না পারলেও বেকারত্বের জন্ম দিয়ে যাচ্ছি। এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যাথা নেই। আমাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে। সেখানে সাধারণত দুই শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ে থাকে। এক, মাধ্যমিকে আশানুরূপ অর্জন না করতে পারার দল। আরেক দল হলো, নিরুপায়ী। অথচ বাস্তবতার নিরিখে ভোকেশনাল শিক্ষায় শিক্ষিত যুবরা বেকার থাকার কথা না। উপরন্তু তাদের উন্নত জীবনযাপন করার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ এ খাতকে আমরা আকর্ষণীয় ও কর্মযুক্ত করতে পারিনি। আমরা গতানুগতিক ধারায় উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরে ফী বছর গয়রহ লক্ষ লক্ষ উচ্চাভিলাষী যুব সৃষ্টি করে চলেছি। এ নিয়ে যেন আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। কর্মমুখী শিক্ষার কদর দেশ-বিদেশে প্রচুর সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে। পর্যটন শিল্প, সেবা-স্বাস্থ্যখাত, বৃত্তিমূলক ও কৃত্ত ভিত্তিক শিক্ষা র্নিভর পেশাকে আকর্ষণীয় করে এর যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করলে স্নাতক, স্নাতকোত্তরের চিরচেনা পথে মেধায় অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা না হেঁটে নিজেদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে নিতে পারে। আমাদের মনোযোগ এদিকেই দেওয়া উচিত। দেশের মেধা নানা উছিলায় বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। বিদেশিরা আমাদের মেধা আকৃষ্ট করে নিয়ে যাচ্ছে নানা ভাবে। দেশান্তরি এসব যুব আর দেশে ফিরবে না বলেই দৃঢ় অনুমান হয়। তাহলে ভবিষ্যতের কান্ডারি কারা হবে? তারা কারা? সুকুমার রায়ের সেই বিখ্যাত কবিতা ‘বাবুরাম সাপুড়ে’র মত? ভাবতেই আতংকিত হতে হয়।

পাঠ্যপদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম নিয়ে এরূপ দায়িত্বহীনতার অবসান হোক। দায়িত্ববান কর্তাব্যাক্তিরা রিয়েক্টিভ না হয়ে যথাযথ ভাবে দেখভাল করলে ভবিষ্যতে এধরণের বাদানুবাদ অনেকাংশেই কমে যাবে। শয়তানের কাজ শয়তানি করা। এটা সৃষ্টি লগ্ন থেকেই চলমান। ভবিষ্যতেও জারী থাকবে। সকল কর্মীর কর্মকাল শেষে একটা অবসরকাল থাকে। কিন্তু শয়তানের কোন অবসরকাল নেই। তাই তার ওয়াসওয়াসা নানা ঢংয়ে চালু থাকবে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে শয়তানও এখন স্মার্ট হয়ে গেছে। সে এখন লাড়া দেয়। কায়িক পরিশ্রম করে আর কিলাকিলি করে না। এই লাড়ালাড়িটাই বন্ধ করতে হবে। বানরকে বশে আনতে যেমন ছড়ি আর শৃঙ্খল দরকার তদ্রুপ শয়তানের কায়কারবার সীমিত রাখতে চাইলে লাড়ালাড়ির লক্ষ্মণ দেখা মাত্র শক্ত হাতে তা মোকাবেলা করা অতি আবশ্যক। নইলে শয়তানের এই লাড়ালাড়ি শুধু শিক্ষাঙ্গনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর কোপ কখন কার ঘাড়ে গিয়ে পড়বে কে জানে? তখন আক্ষেপ-বিক্ষেপ, আলাপ-প্রলাপ-বিলাপ আর কোন প্রকার হা-হুতাশে কাজ হবে না। মানুষের মেধা ও সৃজনশীলতার চেয়ে শয়তানের প্রভাব শক্তিশালী নয়। তাই প্রয়োজন আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ। আসুন সবাই সে লক্ষ্যেই কাজ করি। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা

বিজ্ঞাপন
প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন