বিজ্ঞাপন

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ২ বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু

March 1, 2024 | 10:09 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ থেকে সৃষ্ট ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুইজন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীও রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মৃত বুয়েট শিক্ষার্থীরা হলেন— লামিশা ইসলাম ও নাহিয়ান আমিন। জানা গেছে, লামিসা বুয়েটের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। আর নাহিয়ান একই ব্যাচের ইইই বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী, তার বাড়ি বরিশাল।  তবে লামিশার বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

পরিচয় শনাক্ত করার পর শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর থেকে ঢাকা মেডেকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মৃতদের স্বজন ও সহপাঠিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে ঢাকার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। এর আগে, মৃতের সংখ্যা ৪৪ বলে জানিয়েছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পক্ষ থেকে মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল নুর (এনডিসি, ঢাকা) জানান, এখন পর্যন্ত মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে ঝুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা তাদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে শনাক্ত করেন। এরপর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই লাশগুলো তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। হস্তান্তরের এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকবে।

তিনি আরও জানান, শনাক্ত না হওয়া ৬ জনের লাশের ভিতর ৫ জনেরই চেহারা বুঝা যাচ্ছে। তবে তাদের স্বজনদের পাওয়া যায়নি। এখানে ১টি মাত্র লাশ যেটি পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই লাশটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।

এর আগে, বেইলি রোডের ওই ভবনে বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে আগুন লাগে। ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছিল। এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করছিল ফায়ার সার্ভিস।

বিজ্ঞাপন

ভবনটির ছাদসহ বিভিন্ন তলায় অনেকেই আটকা পড়েছিলেন। টার্ন টেবল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে ছাদ ও বিভিন্ন তলা থেকে সবাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও বিজিবি সদস্যরা।

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন