বিজ্ঞাপন

রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট অক্ষত, লুট হয়নি টাকা

April 3, 2024 | 5:31 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) হামলা চালিয়ে অস্ত্র-গুলি লুট ও ম্যানেজারকে অপহরণ করলেও টাকা লুট করতে পারেনি। ব্যাংকের ভল্টে তারা হামলা চালালেও কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ভল্টে রক্ষিত টাকাও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. শাহনেওয়াজ খালেদ বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, কক্সবাজার থেকে আমাদের দুটি ক্রাইম সিন টিম এখানে এসেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করেছি। আমরা চাবি দিয়ে ভল্ট খুলে ভেতরে থাকা সব টাকা-পয়সা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি।

আরও পড়ুন- রুমায় সোনালী ব্যাংকের কোটি টাকা লুট, ম্যানেজারকে অপহরণ

বিজ্ঞাপন

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ভল্টে এক কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রক্ষিত ছিল। পুরো টাকাটাই ভল্টে রয়েছে। তারা ভল্ট থেকে কোনো টাকা নিতে পারেনি।

এর আগে ঘটনার পরপর জানা যায়, সরকারি বিভিন্ন দফতরের ঈদুল ফিতরের বেতন-বোনাস হিসেবে যেসব টাকা এসেছিল, কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা ভল্ট ভেঙে সেই টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। তার পরিমাণ দেড় কোটি টাকা হতে পারে অনুমান করা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন- রুমার সোনালী ব‌্যাংকের ম‌্যা‌নেজার‌কে উদ্ধা‌রে চেষ্টা চলছে

বিজ্ঞাপন

সিআইডি কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ সেসব তথ্য নাকচ করে দিয়ে বলেন, তারা ভল্ট ভাঙতে পারেনি। একটিই ভল্ট ছিল। সেখানে যত টাকা রাখা ছিল, পুরোটাই অক্ষত রয়েছে।

এর আগে রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে। পুলিশ ও ব্যাংকসংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় কেএনএফের প্রায় এক শ সশস্ত্র সদস্য ব্যাংকে হামলা চালান।

আরও পড়ুন- পাহাড়ে যা যা করা দরকার, সব করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

হামলার সময় ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে অন্তত ১৪টি অস্ত্র ও কয়েক শ রাউন্ড গুলি তারা লুট করে নেয় কেএনএফ। যাওয়ার সময় ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে ভল্ট ভেঙে টাকা লুট হয়েছিল বলেও তথ্য জানা যায়। তবে টাকা লুটের তথ্য আজ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি নাকচ করে দিলেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুর ১টার দিকে থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃ‌ষি ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাতেও স্থানীয়রা দায়ী করছেন কেএনএফকেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ট্রাকে করে হাজির হয়ে বাইরে ফাঁকা গু‌লি চা‌লিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় ক‌্যাশে থাকা নগদ টাকা তারা নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন- এবার থানচিতে দিনদুপুরে ২ ব্যাংক লুট, বাজারে ফাঁকা গুলি

১৬ ঘণ্টার মধ্যে একই জেলার দুই উপজেলার ব্যাংক শাখায় লুটপাটের ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের সব শাখার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক বান্দরবান শাখার প্রিন্সিপাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ওসমান গনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) রুমা ও আজ (বুধবার) থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে উপজেলার সোনালী ব্যাংকের শাখাগুলোর আর্থিক লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন