বিজ্ঞাপন

‘বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়লেও জলবায়ু অভিযোজনের খরচ বাড়বে’

April 22, 2024 | 8:13 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বৈশ্বিক তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচির খরচ বেড়ে যাবে উল্লেখ করে সবকিছুকে জলবায়ু পরিবর্তনের লেন্সে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। আর্থিক রিটার্নের ক্ষেত্রে অভিযোজনকে ন্যায্যতা দেওয়া কঠিন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ মাত্র শূন্য দশমিক চার আট শতাংশ। অথচ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। বৈশ্বিক তাপমাত্রা আর এক ডিগ্রি বাড়লেও তা আমাদের জন্য বিপদ বাড়াবে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) ন্যাপ এক্সপো ২০২৪-এর ‘হাই-লেভেল ট্রান্সফরমেশনাল ডায়ালগ: আ ট্রান্সফর্মড ন্যাপ ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক অধিবেশন পরিচালনার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে সমাধান করা যাবে না। যদি আমরা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস না বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে চাই, তাহলে আমাদের আগামী বছরের মধ্যে নির্গমনের সর্বোচ্চ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেকে হ্রাস করতেই হবে।

বিজ্ঞাপন

‘এই সময়ের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিন গুণ বাড়াতে হবে এবং শক্তির মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে। তাহলেই আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে নেট শূন্য অর্জনের একটি বাস্তবসম্মত পথ পাব,’— বলেন পরিবেশমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী চিন্তা করলেও স্থানীয়ভাবে কাজ করতে হবে। তবে বাংলাদেশ ও তার জনগণের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বহুবিধ প্রভাব-বাস্তুচ্যুত জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা বেড়ে চলা, প্রাকৃতিক বিপদের তীব্রতা ও ফ্রিকোয়েন্সি, বন্যা, খাদ্য নিরাপত্তা, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো বহুবিধ প্রভাব সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণে ও উত্তরে হিন্দুকুশ হিমালয়ের বর্ধিত হিমবাহ, জলের চাপ, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির মতো বিপুল চ্যালেঞ্জের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞ ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হিসেবেই দেখেন না, নিজেকে সমাধান ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও একজন নেতা ও চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখেন।

বিজ্ঞাপন

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রম পরিচালনা করা বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। অভিযোজন শুধু স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নয়, এটি আমাদের সবার জন্য চ্যালেঞ্জ। তাই এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সংহতি প্রয়োজন।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ইউএনএফসিসিসির নির্বাহী সচিব সাইমন স্টিল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ; ফিলিপাইন ক্লাইমেট চেঞ্জ কমিশন প্রেসিডেন্টের অফিসের পরিচালক রবার্ট ই এ বোর্জে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপো ২০২৪ শীর্ষক চার দিনব্যাপী জাতিসংঘের জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন