April 27, 2024 | 4:51 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: চলমান দাবদাহ থেকে স্বস্তি দিতে বড় সড়ক, গলি আর পার্কে পানি ছিটানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এছাড়াও বিনামূল্যে খাবার পানিও সরবরাহ করবে তারা। চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের পরামর্শে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠান্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, দুটি স্প্রে ক্যানন যেগুলো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করে এগুলো প্রধান সড়কে পানি ছিটাবে। এগুলো বেশ বড় হওয়ায় গলির সড়কে প্রবেশ করতে পারবে না। গলির সড়কে পানি ছিটানোর জন্য ১০টি ব্রাউজার কাজ করবে। এগুলোর মাধ্যমে সড়কগুলো ভিজিয়ে ঠাণ্ডা রাখা হবে। এছাড়াও ডিএনসিসির পার্কগুলোতে স্প্রে ক্যাননের মতো কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পার্কগুলোতে কৃত্রিম বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি (৫০০ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত) পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলি গলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি খেতে পারে।
সকাল সাড়ে ১১টায় মেয়র আগারগাঁওয়ের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণি সড়কে এসে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাপ ছেড়ে পানি পান করেন। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু কিশোরদের সঙ্গে ভেজেন এবং তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
এ সময় তিনি নগরবাসীর প্রতি তিনটি অনুরোধ রাখেন। সেগুলো হলো-
এক, ডিএনসিসি এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতাকে প্রতিটি দোকান, শপিংমল, মার্কেটের সামনে খাওয়ার পানির ড্রামের ব্যবস্থা রাখার অনুরোধ করেন।
দুই, গতবছর লাগানো ৮০ হাজার গাছ ও এই বছর আরও যে এক লাখ ২০ হাজার গাছ লাগানো হবে সেগুলোর যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিন, এ বছর ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এডিস মশার সিজন শুরু আগেই সবাই যেন নিজ বাড়ি, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশ পরিষ্কার রাখে যেন এডিসের লার্ভা না জন্মায়।
চিফ হিট অফিসারের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছে। হিট অফিসার একজন একক ব্যক্তি। সে তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে না। সে পরামর্শ দিচ্ছে কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সকলকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।
ওয়াটার স্প্রে পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হামিদা আক্তার (মিতা)।
সারাবাংলা/আরএফ/ইআ