বিজ্ঞাপন

চোর সন্দেহে মারধরে আহত যুবকের মৃত্যু

April 28, 2024 | 3:06 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর নর্দ্দায় চোর সন্দেহে আটকের পর মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া আহত শাকিল (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের পর মামলার দুই নম্বর আসামি বাড়ির মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি কেয়ারটেকার পলাতক আছেন।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে চোর সন্দেহে তাকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়।

শাকিলের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আলেক। শাকিল পরিবার নিয়ে গুলশানের নর্দ্দা এলাকায় থাকতেন। পেশায় রাজ মিস্ত্রীর সহযোগীসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করতেন তিনি।

গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাইয়ুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ২৫ এপ্রিল নর্দ্দার সরকার বাড়ি ক-২১/২-জি নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার আমিনুল ইসলাম আমিন, বাড়ির মালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভসহ আরও ৫-৬ জন মিলে শাকিল নামে ওই যুবককে চোর সন্দেহে আটক করেন। এরপর তার হাত পা বেঁধে তাকে পেটান। তারপর তাকে ভবনটির নয় তলার ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মারধর করার একপর্যায়ে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন। ঘটনার পর খবর পেয়ে স্বজনরাই তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকরা আইসিইউয়ে নেওয়ার কথা বললে স্বজনরা তাকে ধানমন্ডির টুয়েন্টি সেভেন প্লাস নামে একটি হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল গুলশান থানায় স্বজনরা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দুই নম্বর আসামি বাড়িমালিকের ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় প্রধান আসামি বাড়ির কেয়ারটেকার আমিনুল ইসলাম আমিন এখনো পলাতক। তাকেসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ঘটনার পর ২৬ তারিখ গুলশান থানায় স্বজনরা হত্যার চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর দুই নম্বর আসামী বাড়িওয়ালার ছেলে ইমরান হোসেন শুভকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় প্রধান আসামি বাড়িটির কেয়ারটেকার আমিনুল ইসলাম আমিন এখনো পলাতক। তাকেসহ বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসআই আরও জানান, যে চুরির অভিযোগে শাকিলকে মারধরের পর ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে; এমন চুরির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন