বিজ্ঞাপন

ইবির সিন্ডিকেটে আটকে গেল নিয়োগ-পদোন্নতি

May 21, 2024 | 7:20 pm

ইবি করেসপন্ডেন্ট

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২৬৩তম সিন্ডিকেট সভায় দীর্ঘদিন ‘ঝুলে থাকা’ ১৩ পদের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়নি। সিন্ডিকেট সভার সদস্যদের বিরোধিতার মুখে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি উপাচার্য। এদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতির বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিজ্ঞাপন

দুইটি এজেন্ডা ও একাধিক টেবিল এজেন্ডা থাকা এই সভা রোববার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কয়েকজন সদস্য ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পক্ষের শিক্ষক, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও পদপ্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠিত ২৬৩ তম সভায় দুইটি প্রধান এজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে মেগাপ্রকল্পের সোয়া ছয় কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন খোলা হয়, এতে শাস্তির ধারা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে নির্ধারিত ধারা ও শাস্তির ধরণ উল্লেখ করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের সুপারিশ করে সিন্ডিকেট। এদিকে দীর্ঘদিন শিক্ষা ছুটিতে থাকা পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেনকে এক মাসের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইবিতে সিন্ডিকেট সভা কাল, চূড়ান্ত হচ্ছে ‘ঝুলে থাকা’ বিভিন্ন নিয়োগ

বিজ্ঞাপন

এদিকে এ সভায় ১৩ জন কর্মচারির (অফিস সহকারী, মালি ও পরিচ্চন্নকর্মী পদে) নিয়োগ ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সহ বিভিন্ন বিষয় মূল আলোচ্যসূচিতে ছিল না। পরে সেগুলো টেবিল এজেন্ডা হিসেবে উত্থাপিত হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় পূর্বোক্ত আলোচ্যসূচিতে না থাকার কারণে নিয়োগের বিষয়ে বিরোধিতা করেন কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য। পরবর্তীতে নিয়োগ ও প্রমোশনের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এদিকে সিন্ডিকেট সভার আগে রোববার (১৯ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীর শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পত্তি করে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন নিয়োগে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে নিয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে নিয়োগের দিকে যাওয়ার দাবি জানান তারা।

সোমাবার (২০ মে) শাপলা ফোরামের একাংশ উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান। তবে উপাচার্য সকালেই ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার কারণে তারা উপ-উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পূর্বোক্ত দাবি ছাড়াও বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টি চূড়ান্ত করণ, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা, আসন্ন ঈদের ছুটি শুরুর আগেই শিক্ষকদের পরীক্ষার বিল প্রদান।

বিজ্ঞাপন

এসময় শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রবিউল হোসেন, সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন, অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক শেলীনা নাসরিনসহ ১৫-২০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন বলেন, আমরা উপাচার্যকে না পেয়ে উপ-উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছি। আমরা অতিদ্রুত বাস্তবায়ন চাই।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়গুলো রেগুলার এজেন্ডা ছিল না। তাই সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া শাপলা ফোরামের যে দাবি ছিল সেগুলো আমি উপাচার্যকে জানিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন