বিজ্ঞাপন

বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কৃষিখাতে বরাদ্দের দাবি

May 26, 2024 | 7:31 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ আগামী বাজেটে কৃষি-কৃষক ও খেতমজুর বাঁচাতে জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দের জোর দাবি জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আজ রেববার সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট-এর উদ্যোগে ২০২৪-২৫ সালের বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৪০ ভাগ কৃষিখাতে বরাদ্দের দাবিতে সারা দেশে সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এবং ঢাকায় অর্থমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।

এর আগে সংগঠনের সভাপতি কৃষকনেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সহসম্পাদক নিখিল দাসের পরিচালনায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বানববন্দন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের দফতর সম্পাদক জুলফিকারর আলী, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ। কর্মসূচি শেষে নিখিল দাস ও জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

নেতারা বলেন, ‘আমাদের দেশে শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১১ দশমিক ২ শতাংশ। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষক ফসল, ফলমূল, মাছ-মাংসসহ কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রেখে ১৭ কোটি মানুষের মুখে আহার জুগিয়ে চলছে। তাছাড়া শিল্পের কাঁচামাল জোগান দিয়ে শিল্প উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে ও বিদেশে রপ্তানি করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিশাল ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশের কৃষকরা ধান উৎপাদনে দেশকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে উন্নিত করেছে, খাদ্যশস্যের উৎপাদন বাড়িয়ে উন্নিত করেছে প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টনে। ৬০ ধরনের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টন বৈচিত্র্যপূর্ণ সবজি উৎপাদন করে বিশ্বের তৃতীয় সবজি উৎপাদনের স্থানে আছে; আর এর সাথে যুক্ত ১ কোটি ৬২ লাখ কৃষক পরিবার। আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে আছে। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষক উৎপাদন বাড়িয়েই চলছে।’

বিজ্ঞাপন

নেতারা আরও বলেন,  ‘এত অবদান সত্ত্বেও কৃষি, কৃষক ও খেতমজুরদের বাঁচাতে জাতীয় বাজেটে কৃষি বরাদ্দ বাড়ছে না। জাতীয় বাজেট বা অর্থনৈতিক বিবৃতি যেহেতু দলীয় দর্শনেরও প্রকাশ-ফলে কৃষি, কৃষক, খেতমজুরদের সম্পর্কে সরকারের মনোভাব বাজেটের মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তাই এই খাত সম্পর্কে সরকারের অবহেলা ও বৈরী মনোভাব পরিষ্কার।’

নেতৃবৃন্দ আগামী বাজেট যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হিসেবে উত্থাপন ও পাস হবে। বাজেটের প্রক্কালে কৃষি-কৃষক ও খেতমজুর বাঁচাতে জাতীয় বাজেটের উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দের জোর দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ দাবি করেন সার-বীজ, সেচ-কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে। ৫০ লাখ টন ধান উৎপাদন খরচের সাথে ৪০ শতাংশ মুনাফা দিয়ে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারকে কিনতে হবে। খেতমজুরদের সারা বছরের কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। কৃষি এবং বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সবজি চাষ এলাকায় প্রত্যেক ইউনিয়নে সবজি সংরক্ষণাগার ও ধান-গম, আলু সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য গুদাম-সাইলো, কোল্ডস্টোরেজ নির্মাণ করতে হবে। খেতমজুরদের সারা বছরের কাজ, নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করে সমকাজে সমমজুরি নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাম-শহরে শ্রমজীবীদের জন্য সেনাবাহিনীর দরে রেশনিং চালু করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নেতৃবৃন্দ উল্লিখিত দাবিসহ কৃষক ফ্রন্টের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান এবং কৃষক-খেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন