বিজ্ঞাপন

রাণীনগর উপজেলা নির্বাচনে জামানত হারালেন ১৩ প্রার্থী

June 1, 2024 | 5:39 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নওগাঁ: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপে নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভোট না পাওয়ায় রাণীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

গত বুধবার (২৯ মে) উপজেলার ৭০টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারি ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। ফলাফল থেকে জানা যায়, ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভোট না পাওয়ার কারণে জামানাত হারিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন নীতিমালা অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের শতকরা পনের ভাগের এক ভাগ ভোট প্রার্থীকে পেতে হবে তা না হলে সেই প্রার্থী জামানত হারাবেন। উপজেলায় ৭০টি কেন্দ্রে মোট ১ লাখ ৬২ হাজার ৫জন ভোটারের মধ্যে ৬৭ হাজার ৫৬৬জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৫৪টি আর বাতিল করা ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৬শ১২টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪১.৭০ভাগ। তাই নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী রাণীনগর উপজেলার প্রার্থীদের সর্বনিম্ম ভোট পেতে হবে ১০ হাজার ১৩৪টি। যদি কোনো প্রার্থী নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভোটের কম ভোট পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৯ জন প্রার্থী। কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন শালিক পাখি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫০টি, সরদার মো. আব্দুল মালেক দোয়াত-কলম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৯৮টি, মো. ইয়াকুব আলী প্রামাণিক হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪৯২টি ভোট, মো. আসাদুজ্জামান টেলিফোন প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৩৬৬টি, গোলাম রাব্বানী মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৭২৪টি ভোট ও সুজিত চন্দ্র সাহা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৯২৪১টি ভোট। তাই নির্বাচন নীতিমালা অনুযায়ী রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী এই পাঁচজন প্রার্থী তাদের জামানত হিসেবে জনপ্রতি ১লাখ টাকা আর ফেরত পাবেন না। যদিও বা ভোট গ্রহণের কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক দুইবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো. আনোয়ার হোসেন হেলালের ছেলে মো. রাহিদ সরদার কাপ-পিরিচ প্রতিকে ভোট ২৩৪৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক তিনবারের এমপি মরহুম ইসরাফিল আলমের ভাতিজা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা মো. আসাদুজ্জামান আসাদ কৈ মাছ প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪৫৪৮ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে ১০৩৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৬৭হাজার ৫৫৪। এর মধ্যে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬৮৬ আর বাতিল করা ভোটের সংখ্যা ৩হাজার ৮৬৮। ভোটের শতকরা হার ৪১.৭০%। প্রদত্ত ভোটের হিসেবে প্রার্থীদের সর্বনিম্ন ১০হাজার ১৩৩টি ভোট পেতে হবে, তাহলে প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে না।

এই পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। হিসাব অনুযায়ী মো. মামুন হোসেন বই প্রতীকে ৪৫৭৫টি ভোট, মো. তুষার বুলবুল টিয়া পাখি প্রতীকে ৫৬৯০টি ভোট, জাহাঙ্গীর আলম তালা প্রতীকে ৬৯৩০টি ভোট ও মো. মামুন হোসেন মাইক প্রতীকে ৭০৯৯টি ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এই পদে চশমা প্রতীকে ১৬৪১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন প্রদ্যুত কুমার প্রামাণিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. জার্জিস হাসান মিঠু টিউবয়েল প্রতীকে ১২০৪৮ ভোট পেয়েছেন। আর উড়োজাহাজ প্রতীকে ১০৯২৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মো. সাদেকুল ইসলাম।

অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। এই পদে সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৬৭হাজার ৫শত ৫১। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬৪হাজার ৬২৫ আর বাতিল করা ভোটের সংখ্যা ২হাজার ৯২৬। শতকরা ভোট পড়েছে ৪১.৬৯ভাগ।

নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীদের সর্বনিম্ন ভোট পেতে হবে ১০হাজার ১৩২টি ভোট। এই পদে নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী মোছা. মমতাজ বেগম (সাথী) ফুটবল প্রতীকে ৬৬১২টি ভোট, মোছা. বেদেনা বেগম কলস প্রতীকে ৪৭২৫টি ভোট ও দুইবারের ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম হাঁস প্রতীকে ৮১২৯টি ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।

এই পদে পদ্ম ফুল প্রতীকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩২১৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন মোছা, রুমা বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোছা. মর্জিনা প্রজাপ্রতি প্রতিক নিয়ে ১৩০২০ ভোট পেয়েছেন। আর হাঁস প্রতীকে ৮১২৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ফরিদা বেগম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন