বিজ্ঞাপন

উত্তর কোরিয়া সফরের উদ্দেশ্য জানালেন পুতিন

June 18, 2024 | 4:11 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পশ্চিমাদের চাপ থেকে রক্ষা পেতে মস্কো এবং পিয়ংইয়ং তাদের নিজস্ব বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) উত্তর কোরিয়া সফরের আগে এ কথা বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

শীর্ষস্থানীয় ডিপিআরকে দৈনিক রোডং সিনমুনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট তার উত্তর কোরিয়া সফরের লক্ষ্যগুলোর একটি রূপরেখা দিয়েছেন।

তিনি নিবন্ধে লিখেছেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া পশ্চিম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় এমন বিকল্প বাণিজ্য এবং পারস্পরিক মীমাংসার প্রক্রিয়া গড়ে তুলবে, যৌথভাবে অবৈধ একতরফা বিধিনিষেধের বিরোধিতা করবে এবং ইউরেশিয়ায় সমান ও অবিভাজ্য নিরাপত্তা কাঠামো গঠন করবে।

তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বাড়ানোর উপর জোর দেন। এছাড়া উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পর্যটন, সেইসঙ্গে সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া বিনিময় ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন।

বিজ্ঞাপন

পুতিন কোরিয়ানদের মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সোভিয়েত সেনাবাহিনী ১৯৪৫ সালে কোরিয়ানদের জাপানি দখল থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করেছিল। মস্কোই প্রথম ডিপিআরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন মার্কিন সমর্থিত দক্ষিণের সঙ্গে কোরিয়ান যুদ্ধের (১৯৫০-১৯৫৩) ধ্বংসযজ্ঞের পরে দেশটিকে পুনর্গঠনে সহায়তা করেছিল।

পুতিন লিখেছেন, ডিপিআরকে এবং বীর কোরিয়ান জনগণকে বিশ্বাসঘাতক, বিপজ্জনক এবং আক্রমণাত্মক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া ক্রমাগত সহায়তা করেছে। তাদের স্বাধীনতা, পরিচয় এবং স্বাধীনভাবে তাদের উন্নয়নের পথ বেছে নেওয়ার অধিকারের লড়াইয়ে সবসময় রাশিয়া পাশে ছিল।

মঙ্গলবারের সফরটি হবে ২০০০ সালের পর পুতিনের প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর। দুই যুগ আগের ওই সফরে পুতিন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-ইলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এখন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-ইলের উত্তরসূরি কিম জং-উন। গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন কিম জং-উন। পুতিন পূর্ব রাশিয়ার ভস্টোচনি স্পেসপোর্টে বর্তমান ডিপিআরকে নেতাকে আতিথ্য দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

ক্রেমলিনের মতে, উত্তর কোরিয়া সফরে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলে থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো, পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্টারোভয়েট, মহাকাশ সংস্থা রোসকসমসের প্রধান ইউরি বোরিসভ এবং রাশিয়ান রেলওয়ে প্রধান ওলেগও বেলোজিওরভ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার উপর অসংখ্য অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে রাশিয়া এখন আরও বেশি তার এশীয় মিত্র বিশেষ করে চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলছে।

সারাবাংলা/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন