বিজ্ঞাপন

সর্বজনীন পেনশন: শিক্ষকদের আন্দোলনে ২য় দিনেও অচল বিশ্ববিদ্যালয়

July 2, 2024 | 8:28 pm

ঝর্ণা রায়, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের জনগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর অধীনে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সরকারের চালু করা সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিম’ নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন দেশের ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এই স্কিম চালু হলে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। সরকারের ভেতরে একটা গোষ্ঠী শিক্ষকদের মতামত না নিয়েই এই স্কিমে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এখন এই স্কিমে তাদের অন্তর্ভুক্তির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও সুপার গ্রেড বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবি পূরন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

গতকাল সোমবার (১ জুলাই) সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রত্যয় স্কিমে তাদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেন। বন্ধ ছিল লাইব্রেরিও। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে এ দিনও সব বিশ্ববিদ্যালয়ই বন্ধ ছিল। শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

এদিকে শিক্ষকদের এই আন্দোলনের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সেশন জটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষকরা আশ্বাস দিচ্ছেন, বাড়তি ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে। প্রত্যয় স্কিম নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচল থাকলেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন- প্রত্যয় স্কিম নিয়ে যে ‘স্পষ্টীকরণ’ ব্যাখ্যা পেনশন কর্তৃপক্ষের

বিজ্ঞাপন

প্রত্যয় স্কিম কী

দেশের সব নাগরিককে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোতে আনতে গত বছরের আগস্টে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করে সরকার। এর অধীনে রয়েছে চার ধরনের স্কিম— প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। এর সাত মাসের মাথায় সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত করা হয় আরেক স্কিম প্রত্যয়। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়াত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার চলতি জুলাই মাস থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এই স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত জানায়।

সরকার বলছে, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীরা অবসরে গেলে তাদের পেনশন নিশ্চিত করতে প্রত্যয় স্কিম। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যৌথ অংশগ্রহণের মাধ্যমে যে টাকা মাসিক ভিত্তিতে জমা হবে, তার মূল টাকা ও মুনাফার ওপর অবসরে গেলে মাসিক ভিত্তিতেই পেনশন পাবেন কর্মীরা। সরকারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যয় স্কিমের আওতায় এলেও সুবিধাভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না। বিদ্যমান পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধাও অক্ষুণ্ন থাকবে।

স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসব বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছেন। এই স্কিম চালু করা হলে তাদের বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থা বদলে গিয়ে তারা বৈষম্যের শিকার হবেন বলে মনে করছেন। তাতে করে বর্তমানে অবসরোত্তর যেসব সুযোগ-সুবিধা তারা পান, বঞ্চিত হবেন তা থেকেও।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা-গ্রন্থাগার

প্রত্যয় স্কিমে বৈষম্যের শঙ্কা শিক্ষকদের

প্রত্যয় স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের আপত্তি ঠিক কোন জায়গায়, তা নিয়ে কথা হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে। তারা বলছেন, বর্তমানে পেনশনের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন থেকে কোনো টাকা কাটা হয় না। কিন্তু প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হলে তাদের বেতনের ১০ শতাংশ কাটা যাবে। আবার বিদ্যমান ব্যবস্থায় কোনো অধ্যাপক অবসরে গেলে গ্র্যাচুইটি বা আনুতোষিক পান ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, যেটি প্রত্যয় স্কিমে পাওয়া যাবে না।

এদিকে অবসরে গেলে অধ্যাপকরা এখন মাসে পেনশন পান ৪৫ হাজার ৭৯০ টাকা, যার বিপরীতে তাদের বেতন থেকে কোনো টাকা কাটা যায় না। কিন্তু প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত হলে বেতন থেকে কাটা অর্থ ও প্রতিষ্ঠানের টাকায় পেনশন পাওয়া যাবে মাসে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে তারা এককালীন কোনো টাকা পাবেন না।

এ ছাড়া বর্তমানে প্রতি বছর পেনশনের পরিমাণ ৫ শতাংশ হারে বাড়ে। প্রত্যয় স্কিমে সেটি বাড়বে না। বিদ্যমান ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছরে, কর্মকর্তারা ৬২ বছরে ও কর্মচারীরা ৬০ বছরে অবসরে যান। প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত হলে সবাইকেই ৬০ বছর বয়সে অবসরে যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বলছেন, প্রত্যয় স্কিম চালু হলে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হবেন। ভবিষ্যতে যারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেবেন, তাদের অবসরোত্তর আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কমে যাবে। প্রত্যয় স্কিমের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু— বর্তমান পরিস্থিতিতে এই তিন দাবিতে এখন তারা আন্দোলন করে যাচ্ছেন।

শিক্ষকরা আরও বলছেন, প্রত্যয় স্কিম নিয়ে তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য সরকারকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এসব দাবি মেনে নেওয়া বা মেনে নেওয়ার কোনো আশ্বাস মেলেনি। ফলে গতকাল ১ জুলাই থেকে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন- অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে রাবি শিক্ষকরা

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবারের মতো মঙ্গলবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। একই অবস্থা ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্লাস বন্ধ রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটিতেই মঙ্গলবার কোনো ধরনের ক্লাস বা পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।

স্কিম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে শিক্ষকদের পাশাপাশি সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কবে নাগাদ সচল হবে, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারেরই একটি পক্ষ আজ আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। আমরা অংশীজন হলেও প্রত্যয় স্কিম চালু নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয়নি। আমরা এখন ক্লাস বন্ধ করে সব বিশ্ববিদ্যালয় একযোগে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা খুবই দুঃখজনক।’

সুপার গ্রেডের দাবি জানিয়ে নিজামুল হক বলেন, ‘অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে আমাদের এক ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা আন্দোলন করে সচিব মর্যাদার পদ চেয়েছিলাম। তখন আমাদের সুপার গ্রেড দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৯ বছরেও সে সুপার গ্রেড দেওয়া হয়নি। এবার আমরা তিন দফা দাবির মধ্যে সুপার গ্রেড বাস্তবায়ন, প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চেয়েছি। নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, ব্রাজিল, পাকিস্তানের মতো দেশে পর্যন্ত শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল আছে; সেখানে আমাদের ৫৩ বছরের স্বাধীন দেশে কেন থাকবে না?’

আরও পড়ুন- খুবিতে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

পেনশন কর্তৃপক্ষের স্পষ্টীকরণেও সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা

শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই মঙ্গলবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রত্যয় স্কিম নিয়ে ‘স্পষ্টীকরণ’ বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত যেসব শিক্ষক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন, তারা আগের মতোই সব পেনশন সুবিধা পাবেন। ১ জুলাই বা এর পরে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবেন, কেবল তারাই প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন। আনুতোষিকের পরিবর্তে প্রত্যয় স্কিমে মাসিক পেনশনের পরিমাণ বাড়ানোর পক্ষেও যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।

পেনশন কর্তৃপক্ষের এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি শিক্ষকরা। নিজ বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পদে যোগদান কিংবা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েই উচ্চতর শূন্য পদে নিয়োগের বিষয়গুলো স্পষ্ট নয় বলেই মনে করছেন তারা। এ কারণেই তারা আন্দোলন থেকেও সরে আসছেন না বলেই জানিয়েছেন।

নিজামুল হক ভূঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, অনেক বিষয়েই এখনো অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। এ বিষয়গুলোর সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও আন্দোলন করছেন। তাদের জন্য কী হবে, সেটিও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এগুলোর সুরাহা হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

শিক্ষকদের পক্ষে শিক্ষার্থীরা, সেশন জটের শঙ্কা

শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হলেও শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনকে যৌক্তিকই মনে করছেন। তবে সরকারের সঙ্গে আপসরফা না হলে এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং এর প্রভাবে শিক্ষার্থীরা সেশন জটে পড়তে পারেন, এমন আশঙ্কাও রয়েছে তাদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলাম লিটন সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষকরা প্রত্যয় স্কিমের বিরুদ্ধে যে আন্দোলনে নেমেছেন, নিঃসন্দেহে সেটি যৌক্তিক আন্দোলন। এই ব্যবস্থা চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশা বেছে নিতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাছাড়া সুযোগ-সুবিধা এখনকার চেয়ে যেহেতু কমে যাবে, তাই কোনো শিক্ষকই চাইবেন না এই প্রত্যয় স্কিম কার্যকর হোক। কিন্তু এই আন্দোলনের ফলে আমরা ঝুঁকিতে পড়ছি। দীর্ঘ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকলে সেশন জটের শঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই করোনা মহামারির ধাক্কায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছি। এখন শিক্ষকদের আন্দোলন প্রলম্বিত হলে আমরা আরও পিছিয়ে যাব।’

জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী প্রণয় দেবনাথ বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলনে তো গতকাল (সোমবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়ছে। সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ। লাইব্রেরি পর্যন্ত বন্ধ। শিল আর পাটার ঘষাঘষিতে আমাদের দশা পিষে ফেলা মরিচের মতোই। সরকার ও শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ, আলোচনার মাধ্যমে এই স্থবিরতার সমাধান করুন।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রিতম আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহসিনা জেরিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদিতি সাহাসহ অন্য শিক্ষার্থীরাও একই আশঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তারা বলছেন, ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি লাইব্রেরিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন। এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের শঙ্কা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা জানি শিক্ষার্থীরা শঙ্কিত। আমরা বলছি, তাদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের অভিভাবকও। আমরা বিশেষ ক্লাস ও বিশেষ পরীক্ষা নিয়ে এই ক্ষতি পুষিয়ে দেবো।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘সেশন জট যেকোনো কারণেই তৈরি হয়ে থাকে, হতে পারে। এবার হবে বলে মনে করি না। শিক্ষকেরা নিশ্চয়ই বিষয়টি মাথায় রাখবেন।’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন