বিজ্ঞাপন

হাসি- কষ্ট- আনন্দ- উচ্ছ্বাস- ব্যথা- বেদনার বিশ্বকাপ!

June 19, 2018 | 8:01 pm

।।সারাবাংলা ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

হাসি… কষ্ট… আনন্দ… উচ্ছ্বাস… ব্যথা… বেদনা সবই এরই মধ্যে দেখা হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসরে…। ছবিতে ছবিতে তা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যগুলোতেও। এখানে কয়েকটি ছবি তুলে ধরা হলো সারাবাংলার পাঠক দর্শকদের জন্য। উপরের ছবিতে ব্যাথায় কাতর নেইমারকে এভাবে ক্যামেরাবন্দী করেন এএফফি ও গেটি ইমেজের হয়ে বিশ্বকাপের মাঠে থাকা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি ফটো সাংবাদিক জুয়েল সামাদ। ১৯৭৮ সালের পর এই কোনও বিশ্বকাপের আসরে ব্রাজিল জয় বঞ্চিত হল। ১-১ গোলে ম্যাচটি ড্র হয় সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে।

প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার ইউরি গজিনস্কির করা প্রথম গোলের পরের দর্শকদের সেলিব্রেশনটা এমনই ছিলো। এই ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে হারায় বিশ্বকাপ ২০১৮ এর আয়োজকরা। ছবিটি তুলেছেন গেটি ইমেজের ক্লাইভ রোজ।

হোসে মারিয়া গিমেনেজ উরুগুয়ের পক্ষে ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে যে গোলটি করেন… সেটি ছিলো ১৯৭০ এর পর বিশ্বকাপের আসরে উরুগুয়ের কোনও নিজস্ব প্রথম ম্যাচের গোল। এই ম্যাচে মিশরকে ১-০ গোলে হারায় উরুগুয়ে। আর ৭০-এ হারিয়েছিলো ইসরায়েলকে। ছবিটি তুলেছেন রয়টার্সের ড্যারেন স্ট্যাপলস।

স্পেনকে ৩-৩ গোলের সমতায় এনে পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সেলিব্রেশন ছিলো দেখার মতো। এটি ছিলো ক্লাব ও দেশের হয়ে তার করা ৫১তম হ্যাটট্রিক… আর বিশ্বকাপের ইতিহাসেও এটি ছিলো ৫১তম হ্যাটট্রিক। এ ছবিটিও জুয়েল সামাদের তোলা। জুয়েল সামাদ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি ফটো জার্নালিস্ট, কাজ করছেন এএফপি’র হয়ে।

পেরুর জেফারসন ফারফান ডেনমার্কের পিওনি সিস্টোকে ঠেকিয়ে দিচ্ছেন। তবে এই ম্যাচ ১-০ গোলে জেতে ডেনমার্ক। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ বার বিশ্বকাপ খেলে চার বারের উদ্বোধনী ম্যাচই জিতে নিলো ডেনমার্ক। ছবি রয়টার্সের ম্যাক্স রোসির তোলা।

পেরুর ক্রিস্টিয়ান কুয়েভা ম্যাচের হাফ-টাইমে মাঠ থেকে বের হওয়ার সময় টানেলে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিলেন। প্রথমার্ধের শেষভাগে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে প্যানাল্টি শটটি মিস করার পর এছাড়া আর কিই করতে পারতেন তিনি। ছবিটি গেটি ইমেজের অ্যাডাম প্রেটির তোলা।

ফ্রান্সের এনগোলো কান্তের বাধা পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার টম রোজিকের যে দশা হয়েছিলো… ম্যাচটি ফ্রান্স জিতে নেয় ২-১ গোলে… ২০০২ সালে সেনেগাল ও উরুগুয়ের মতোই ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচটি ছিলো যাতে দুই দলই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্যানাল্টি কিক থেকে গোল আদায় করে নিতে পেরেছে। ছবিটি তুলেছেন এএপি’র ডিন লুইনস।

নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডার শেহু আবদুল্লাহ ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড আন্তে রেবিচকে পরাস্ত করে এই হেডটি করেন… যা ছিলো দেখার মতো। তবে ম্যাচটি ২-০তে জিতে নেয় ক্রোয়েশিয়া। একটি গোল আসে প্যানাল্টি কিক থেকে, অন্যটি ছিলো আত্মঘাতি। মজার ব্যাপার হচ্ছে ব্রাজিলে ২০১৪ ও রাশিয়ায় ২০১৮ সালের দুই বিশ্বকাপ আসরেই ক্রোয়েশিয়া তাদের নিজ উদ্বোধনী ম্যাচের প্রথম গোলটি আত্মঘাতি গোল পায়। এই ছবিটি এএফপি/গেটি ইমেজের ওজান কোসের তোলা

মাঠে লিওনেল মেসি আটকাতে চার-পাঁচজনের সমন্বিত চেষ্টার দৃশ্য খুব দেখা যায়। স্পারটাক স্টেডিয়ামে আইসল্যান্ডের সাথে আর্জেন্টিনার ১-১ গোলের ম্যাচটিতে এমন দৃশ্য বারবার হয়েছে। ম্যাচের ২৩ মিনিটে আলফ্রেড ফিনবোগাসনের করা গোলটি ছিল বিশ্বকাপে কোনো নবাগত দলের দ্বিতীয় দ্রুততম গোল। ১৯৯৪’র বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া ২১ মিনিটের মাথায় গোল করেছিল বুলগেরিয়ার বিপক্ষে। ছবিটি এএফপি ও গেটি ইমেজের হয়ে তুলেছেন ফ্রান্সিসকো লিয়ং।

সার্বিয়ার ফরোয়ার্ড ডুসান তাদিচ কোস্টারিকার ডেভিড গুজম্যান ও ফ্র্যান্সিসকো কালভোকে পরাস্ত করে এগুচ্ছেন। এই ম্যাচ সার্বিয়া জিতে নেয় ১-০ গোলে। ধন্যবাদ পাবে আলেকসান্দান কোলারোভের ফ্রি-কিকটি। ছবি এএফপি/গেটি ইমেজের ইমানুয়েল ডুনার্ডের তোলা।

মেক্সিকোর হার্ভিস লোজানো জার্মানির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানের বিজয়ী গোলটি করেন লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। এর মধ্য দিয়ে জার্মানিকে দ্বিতীয়বার হারাল মেক্সিকো। সবশেষ বিজয়টি আসে ১৯৮৫ সালে এক প্রীতি ম্যাচ থেকে। গেটি ইমেজ থেকে ফিফার নেওয়া ছবিটি ছিল ডেভিড রামোসের তোলা।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন