বিজ্ঞাপন

ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ: কম প্রচার-প্রচারণা, জড়ো হচ্ছে নেতা-কর্মী

November 9, 2018 | 2:36 pm

।। সাদ্দাম হোসাইন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

রাজশাহী থেকে: ড.কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশে নেই নেতাকর্মীদের তেমন কোনো তৎপরতা। সমাবেশ ঘিরে নগরীতে নেই তেমন প্রচার-প্রচারণাও।

আয়োজকদের অভিযোগ, সমাবেশ ঘিরে পুলিশের মামলা-হামলা সহ নানামুখী হয়রানী এবং পরিবহন শ্রমিকদের অযৌক্তিক কর্মবিরতির কারণে সমাবেশের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশিত তৎপরতা এবং প্রচার-প্রচারণা তেমনভাবে করার সুযোগ হয়নি। তাদের দাবি, সমাবেশকে সংকুচিত করতে সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও তাদের সমর্থিত নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যফ্রন্টের বাধা হিসেবে উপস্থিত করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবুও ঐক্যফ্রন্টের আয়োজিত সমাবেশে লক্ষাধিক নেতাকর্মীদের সমাগম হবে বলে আশা করছেন তারা।

শুক্রবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দুইটা থেকে ঐক্যফ্রন্টের চতুর্থ বিভাগীয় সমাবেশের জন্য রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও এখানে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। সকাল নয়টা থেকে মাঠটির পাশে জেএসসি ও জেডিসির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সমাবেশস্থল ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যে কারণে সমাবেশ স্থলে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। এতে সমাবেশের মঞ্চে দুপুর ১টা পর্যন্ত তেমন কোনো নেতাকর্মীদের ভীড় চোখে পড়েনি। তবে ঐক্যফ্রন্টের অধিকাংশ নেতা-কর্মী সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে রাজশাহীতে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, সকাল থেকে নগরীর রেলগেট, সাহেব বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের তেমন নেই বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো প্রচার-প্রচারণা সম্বলিত লিফলেট। তবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় একাধিক ব্যানার প্যাস্টুন চোখে পড়েছে আওয়ামী সমর্থিত নেতাকর্মীদের।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু সারাবাংলাকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর সব জায়গা থেকে আমাদের সব ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে থেকে চলেছে নানা হয়রানি। শনিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত আমাদের তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্রমিকদেরকে দিয়ে সরকার পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু মাত্র সমাবেশ কে বানচাল করার জন্য। কিন্তু আমরা ঐক্যবন্ধ। কোনো বাধাই আমাদের ঠেকাতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

নানামূখী সমস্যায় সমাবেশ সফল হবে কিনা এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, হঠাৎ অসুস্থার কারণে ড. কামাল হোসেন সমাবেশে আসতে পারছেন না। আবার আমাদের নেতাকর্মীদেকে গণগ্রেফতার করছে পুলিশ। সেই সঙ্গে গণপরিবহণ বন্ধ। তারপরও আমরা আশা করছি লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে সমাবেশে। আমাদের নেতাকর্মীরা মামলা হামলাসহ সকল বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করবে।

এদিকে বেলা বারটার পর থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা।

রাজশাহী মহানগরের পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত) মোঃ রমজান আলী সারাবাংলাকে বলেন, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কারণে সকাল নয়টা থেকেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত মাঠ পুলিশের নিরাপত্তায় ছিল। এরপর মাঠ উন্মক্ত করে দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের মাঠে আসতে কোনো প্রকার বাধা পুলিশ দিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন