August 20, 2018 | 7:06 pm
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
কাতারের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়কে পবিত্র হজ পালন থেকে বঞ্চিত করেছে কট্টর রাজতন্ত্র শাসিত দেশ সৌদি আরব। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ বছর ২০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব গিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, এ বছর হজ পালনে কাতারবাসীর জন্য কোনো সুযোগ রাখেনি সৌদি আরব, এমন অভিযোগ করেছেন কাতারের এক সরকারী কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তার আরো অভিযোগ, হজ পালনে ইচ্ছুক কাতারের নাগরিকদের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। এ ছাড়া সৌদিতে কূটনৈতিক মিশন না থাকায় কাতারের বাসিন্দাদের ভিসা দেওয়ার কোনো নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়নি।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাতার ও সৌদি আরবের মধ্যে চরম বৈরিতা চলছে। এরমধ্যে কাতারের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে রেখেছে সৌদি আরব। এছাড়া প্রতিবেশী মুসলিম দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে তাদের।
কাতারের ওই কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত বন্ধ এবং দু’দেশের মধ্যে কূটনীতিক মিশন নাই। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল না থাকার অর্থ হলো কাতারের নাগরিকরা হজ পালনে যেতে পারবে না। সৌদি আরব সুকৌশলে কাতারের জনগণকে হজ পালন থেকে দূরে রেখেছে বলেও অভিযোগ তার।
যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলেছে, হজ পালনে কাতারের নাগরিকদের স্বাগত জানিয়েছে তারা। সৌদি আরবের পবিত্র নগরীগুলোতে কাতারের নাগরিকেরা প্রবেশ করতে পারছে না, গত সপ্তাহ থেকে এ ধরণের অভিযোগ পেয়ে আসলেও, তা তারা অস্বীকার করছে।
উল্লেখ্য, শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে ইরানকে শায়েস্তা করার জন্যে ২০১৬ সালে দেশটির ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজ করার অনুমতি দেয়নি সৌদি আরব। এর আগে, সৌদির সঙ্গে বিরোধের জেরে ১৯৮৭ সালের পর পরবর্তী ৩ বছর হজ বয়কট করে ইরান।
এ ছাড়া, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মুসলমানদেরও হজে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সৌদি আরব। দেশটির বাদশাহ ফয়সাল এক সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বলেছিলেন, বাংলাদেশের নাম বদলে যদি ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ রাখা হয়, তাহলে অনুমতি দেওয়ার কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ একটা রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে বঙ্গবন্ধু সেই অন্যায্য দাবির কাছে মাথা নত করেননি।
সারাবাংলা/এএস